বাংলা সাহিত্য জগতে ইন্দ্রপতন, প্রয়াত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ
বাংলা সাহিত্য জগতে ইন্দ্রপতন, প্রয়াত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ
প্রয়াত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। গতকাল রাতে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল তাঁর। এছাড়াও মাল্টি অর্গান ফেলিওরও হ্রাস করেছিল তাঁকে। মূত্রথলীতেও দেখা দিয়েছিল সংক্রমণ। শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো যায়নি। সাহিত্যিকের প্রয়াণে শোকের ছায়া সাহিত্য জগতে।
গত এপ্রিল মাসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রবীণ সাহিত্যিক। করোনাকে জয় করে আবার বাড়িও ফিরে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে বিশেষ ভাল যাচ্ছিল না শরীর। ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিশিষ্ট সাহিত্যিককে। বয়স জনিত কারণে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শরীর আর সঙ্গ দিল না। গতকাল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১১.২৫ মিনিট নাগাদ মারা যান তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। সাহিত্যিকের প্রয়াণে শোকের ছায়া সাহিত্যজগতে।
বাংলা সাহিত্যকে নিজের লেখনি দিয়ে সমৃদ্ধ করেছিলেন তিনি। বাবলি', 'মাধুকরী', 'কোজাগর', 'হলুদ বসন্ত', 'একটু উষ্ণতার জন্য','কুমুদিনী', খেলা যখন এবং ঋজুদা একাধিক জনপ্রিয় উপন্যাস ছিল তাঁর লেখা। প্রথম জীবনে েলখার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি। চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করতে। কিন্তু সাহিত্যের টানে সেসব ছেড়ে কলম ধরেছিলেন তিনি। পুরাতনী গানেও তাঁর পাণ্ডিত্য িছল। পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, আকাশবাণী কলকাতার অডিশন বোর্ডের সদস্যে ছিলেন তিনি। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'জঙ্গলমহল'।
তিনি জন্মেছিলেন কলকাতা শহরেই। ১৯৩৬ সালের ১৯ জুন তাঁর জন্ম হয়। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। প্রকৃতিকে ভীষণ ভালবাসতেন তিনি। সেকারণে তাঁর লেখনিতে বারবারই অরণ্য, জঙ্গল, পাহাড়,নদী একাধিক বিষয়ের কথা উঠেএসেছে। বিয়ে করেছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ঋতু গুহকে। তিনি আগেই মারা গিয়েছে। রয়েছেন এক কন্যা। লেখা লেখির পাশাপাশি ছবিও আঁকতেন তিনি। নিজের একাধিক বইয়ের প্রচ্ছেদ তিনি এঁকেছিলেন। বুদ্ধদেব গুহ নিজে খুব ভাল গান গাইতেন। তাঁর একাধিক গল্প সিনেমা এবং টেলিভিশনে রূপায়িত হয়েছিল।