মমতাকে সূর্পনখার সঙ্গে তুলনা! নিন্দায় বাংলা, নাক কাটা গেল গণতান্ত্রিক অধিকারের
বিজেপি নেতা সুরজ পাল অমু। মমতাকে তুলনা করেছেন সূর্পনখার সঙ্গে। তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দায় সরব হল বাংলার সংস্কৃতি জগৎ।
পদ্মবতী বিতর্কে দীপিকা পাড়ুকোন ও সঞ্জয় লীলা বনশালীর মাথার দাম ঘোষণার পর এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাক কাটার নিদান দিয়েছেন হরিয়ানার বিজেপি নেতা সুরজ পাল অমু। মমতাকে তুলনা করেছেন সূর্পনখার সঙ্গে। তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দায় সরব হল বাংলার সংস্কৃতি জগৎ। বাংলার কবি-সাহিত্যিকরা সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন বিতর্কিত ওই বিজেপি নেতাকে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে এই কুৎসিত আক্রমণের পর অধ্যাপক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, বর্তমান রাজনীতিতে শালীনতার বড় অভাব। বিরোধিতা থাক, কিন্তু এ কেমন রাজনীতি হচ্ছে। নাক কেটে নেওয়ার হুমকি! বিকলাঙ্গ করার হুমকি কেন? এই রাজনীতি দেশের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। এ জিনিস চলেত দেওয়া যায় না।
সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এইরকম কুৎসিত আক্রমণ রাজনীতিকেই কলঙ্ক করে তুলছে। প্রথমে অভিনেত্রী-পরিচালকদের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল, তারপর একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাক কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হল। ভয় দেখিয়ে স্বাধীনতা হরণ করা চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জিনিস চলতে পারে না।'
কবি সুবোধ সরকার বলেন, 'পদ্মাবতী টিমের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে, এই ছবির মুক্তির বার্তা দিয়েছেন বলে একজন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ ধরনের বাক্যবাণ নিন্দনীয়। যাঁরা এসব করে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা কি মানুষ! তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আসলে এসব গণতন্ত্রকে শেষ করার চেষ্টা চলছে।'
কবি শ্রীজাত বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও অনেক সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। আবারও তিনি একটি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে বার্তা দিয়েছেন। তিনি ভরসা রেখেছেন সংস্কৃতি জগতের। যে যাই বলুক, এ ধরনের নিন্দনীয় কথাবার্তায় কারও নাক কাটা যাবে না, নাক কাটা যাবে গণতান্ত্রিক অধিকারের।'