বাংলার দুর্গা কার্নিভাল বিশ্বজনীন মমতার উদ্যোগে, ‘পুজো শেষে ঠাকুর দেখা’য় মোহিত বিদেশিরাও
পুজো শেষে গ্র্যান্ড কার্নিভালে মাতোয়ারা বাংলা। বাঙালির সেরা উৎসবের পর দুর্গা কার্নিভালের বিগ গ্র্যান্ড শো দেখে মোহিত বিদেশি প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার দুর্গোৎসবকে বিশ্বজনীন রূপ দিয়েছেন। বাংলার দুর্গোৎসবকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্ব আঙিনায়। বাংলা সংস্কৃতির মেলবন্ধনে কার্নিভাল হয়ে উঠল চোখ ধাঁধানো।

এবার মোট ৮০টি পুজো অংশ নেয় কার্নিভালে। চোখ ধাঁধানো সজ্জায় মোহময়ী রেড রোডে এই মহা-উৎসবে সেরার সেরা পুজোর উদোক্তারা পারফর্ম করেন। সেরার সেরা পুজো হয়েছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং। এছাড়া একডালিয়া এভারগ্রিন, সুরুচি সংঘ, নাকতলা সর্বজনীন, কলেজ স্কোয়ারের মতো পুজোও বিশেষ মর্যাদায় আসীন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিও কার্নিভালের আদলে বাংলার দুর্গা কার্নিভালকে বিশ্বের দরবারে সেরার আসন দিতে চান। সেই লক্ষ্যেই এবার চার বছরে পড়ল এই দুর্গা কার্নিভাল। এবারও বিদেশি অভ্যাগতদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁর বাংলার এই কৃষ্টি-কলা ও অপরূপ সংস্কৃতি দেখে অভিভূত।

বাংলার অনিন্দ্য সুন্দর সংস্কৃতিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সামনে গ্র্যান্ড শো হিসেবে উপস্থাপিত করেই ক্ষান্ত নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি এই নিরঞ্জন শোভাযাত্রাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতেই কার্নিভালের রূপ দিতে চেয়েছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্গা কার্নিভালের ট্যাগ লাইন দিয়েছিলেন 'পুজো শেষে ঠাকুর দেখা'। এতদিন লাইন দিয়ে মানুষ ঠাকুর দেখতেন। এবার ঠাকুর লাইন দিয়ে আসছে, তা দেখে মন ভরাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। ২০১৬ সাল থেকে বাংলার দুর্গাপুজো রাজ্যবাসীর কাছে নতুন স্বাদ নিয়ে হাজির। সুশৃঙ্খল শোভাযাত্রার মাধ্যমে ঠাকুর লাইন দিয়ে আসছে দর্শনার্থীদের সামনে।
[ 'আমি ঈশ্বরের বিশেষ সন্তান'! পুজোয় সিঁদুর খেলা বিতর্কে মুসলিম মৌলবাদীদের জবাব নুসরতের]