'বাংলা রক্তাক্ত করে গণতন্ত্রের ধর্ষণ করছে তৃণমূল সরকার', মুকুল বাণে বিদ্ধ সরকার
কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে ফের একবার সরকারকে কড়া আক্রমণ করেন মুকুল।
পঞ্চায়েত ভোটে তিনি বড় কাঁটা হতে পারেন তৃণমূলের কাছে। সেটা মুকুল রায়ও ভালো করেই জানেন। আর তাই যত দিন এগিয়ে আসছে ভোটের, ততই সরকারকে আক্রমণে সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সারা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়েছে। নানা জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়ন তুলতে ও জমা দিতে বাধা দিচ্ছে শাসক দল। এমন হাজারো অভিযোগে বিজেপি সরব হয়েছে। সেই নিয়েই ফ্রন্টফুটে একসময়ের তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।
বুধবার সরকারের হিংসার প্রতিবাদে কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের অফিস মুকুল রায়ের নেতৃত্বে ঘেরাও করে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনকে ঠুঁটো জগন্নাথ বলে আক্রমণ করেন তিনি। একইসঙ্গে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দেন।
শেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে ফের একবার সরকারকে কড়া আক্রমণ করেন মুকুল। বলেন, আজ বাংলা রক্তাক্ত। যারা মনোনয়ন জমা করতে যাচ্ছে তাদের পিটিয়ে, ছুরি মেরে রক্তাক্ত করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার বাংলায় গণতন্ত্রকে ধর্ষণ করেছে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের নামে ধর্ষিত হয়েছে।
শুধু বিজেপিই নয়, জেলায় জেলায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে অন্য বিরোধীদেরও ভোট প্রক্রিয়া থেকে শাসক দল দূরে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, বিরোধীদের কাছে সন্ত্রাসের মিথ্যা আবহ তৈরি করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। মিথ্যা বলে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট ঝুলিতে পুরতে চাইছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের মতো দলগুলি।
প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে ভোট সংক্রান্ত হিংসার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশনারকে তলব করেন রাজ্যপাল। বুধবার নির্বাচন কমিশনার নিজের বক্তব্য জানিয়ে এসেছেন।