রাহুলের ‘আচ্ছে দিনে’ মহাজোটের আওয়াজ সর্বত্রই, এ রাজ্যে এখনও ‘একলা চলো’র সুর
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসতেই রাহুল গান্ধীর ‘আচ্ছে দিন’ শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার বর্ষপূর্তির দিনেই তিন রাজ্যে মোদীর বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসতেই রাহুল গান্ধীর 'আচ্ছে দিন' শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার বর্ষপূর্তির দিনেই তিন রাজ্যে মোদীর বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস। ২০১৯-এর ফর্মুলায় জোট-চর্চা চলছে সর্বত্র। এই অবস্থায় বাংলায় ফের একলা চলার ডাক দিল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের মঞ্চে একতার ছবি
তিন রাজ্যের সাফল্যের পর কলকাতায় রানি রাসমমি রোডে বিজয়োৎসবের ডাক দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তাঁর ডাকে এদিন কলকাতায় কংগ্রেস একতার ছবি তুলে ধরে। এক মঞ্চে দেখা যায় সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য ও অধীর চৌধুরীকে। দেখা যায়, দীপা দাশমুন্সি ও মৌসম বেনজির নুরকেও।
বাংলায় একলা চলার ডাক
কিন্তু রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিরাট সাফল্যের পর যখন ২০১৯-এ বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্যে বিজেপিকে নিশানা করাই স্বাভাবিক ছিল, তখন কলকাতার রানি রাসমণি রোডের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হল বঙ্গ কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। বাংলায় একলা চলার ডাক দিয়ে কংগ্রেস বুঝিয়ে দিল সর্বভারতীয় স্তরে যে সমীকরণই হোক, এ রাজ্যে তাঁরা মমতা বিরোধিতা থেকে সরে আসবেন না।
খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে কংগ্রেস
বহুদিন পর প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধানভবনের সামনে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রে কর্মী ও সমর্থকদের। মাত্র একদিনের নোটিশে রানি রাসমণি রোডে জমায়েত করে কংগ্রেস নেতারা ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের ডাকে সাড়া দিয়ে কর্মী সমর্থকরাও ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বুক বাঁধছেন।
একলা চলার পক্ষে যাঁরা
প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে আবদুল মান্নান, দীপা দাশমুন্সিরাও মনে করেন, রাজ্যে কংগ্রেসের একলা চলার ক্ষমতা রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও তাঁদের সুরেই বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস একলা চলার পক্ষেই। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে একলা লড়ে যে ফল কংগ্রেস করেছে, বাংলাতেও তা করে দেখাতে পারে।
এক সুরে মিলল ভেদাভেদ
এদিন সোমেন-অধীররা এক যোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের বিরুদ্ধে সরব হন। এদিন বাংলার প্রদেশ কংগ্রেসেও এক লহমায় সমস্ত ভেদাভেদ মুছে গিয়েছে। তিন সভাপতিকে দেখা গিয়েচে এক মঞ্চে পাশাপাশি। মৌসম-দীপারা হাতে হাত রেখে সরব হয়েছেন।
দিল্লির চেয়ার ‘বুকড’
অধীর চৌধুরী সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, দিদি দিল্লি যাওয়ার আগে বাংলা সামলান। দিল্লির চেয়ার রাহুল গান্ধীর জন্য স্থির হয়েছে গিয়েছে। সেখানে আর কারও জায়গা হবে না। সোমেন মিত্র বলেন, রাহুল গান্ধী যেভাবে লড়াই করে তিন রাজ্য বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছেন, তাঁর লড়াইকে স্যালুট করতে হবে। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরও লড়াই চালাতে হবে।