জামাইষষ্ঠীতে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ ‘উপহার’ মমতার, বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নে
কী করে আসবে জামাই শ্বশুরবাড়ি খালি হাতে...। সেই সমস্যা মেটানোর জন্য না হয়েছে গঙ্গার টাটকা ইলিশ রয়েছে। কিন্তু জামাই যদি সরকারি চাকুরে হয় তবে তিনি জামাইষষ্ঠীতে আসবেন কী করে?
কী করে আসবে জামাই শ্বশুরবাড়ি খালি হাতে...। সেই সমস্যা মেটানোর জন্য না হয়েছে গঙ্গার টাটকা ইলিশ রয়েছে। কিন্তু জামাই যদি সরকারি চাকুরে হয় তবে তিনি জামাইষষ্ঠীতে আসবেন কী করে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই সমস্যারও সমাধান করে দিল। জামাইষষ্ঠীতে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ 'উপহার' দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জামাইষষ্ঠীর জন্য এবারও অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৯ জুন জামাইষষ্ঠীর দিন সমস্ত সরকারি ও সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে ছুটির ঘণ্টা বাজবে দুপুর দুটোর পর। জামাইষষ্ঠীর প্রাক মুহূর্তে বাংলার জামাইয়েরা পেয়ে গেলেন সেই বহু প্রতীক্ষিত সুখবরটা।
প্রথা মেনেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য জামাইষষ্ঠীতে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নবান্ন থেকে এদিন একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয় এই মর্মে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে অর্ধদিবসের ছুটির কথা। মঙ্গলবার অর্ধদিবস কাজের পর দুপুর দুটোয় ছুটি হয়ে যাব সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের।
বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত এই ছুটির বিরোধিতা করেন। বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এক মুখে বলছেন কর্মসংস্কৃতির কথা, আবার অন্যমুখে ছুটি ঘোষণা করে কর্মদিবস নষ্ট করছেন। এই ঘটনায় স্ববিরোধিতা হচ্ছে বলে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। এই প্রশ্নের উত্তরে মমতা জানান, তিনি ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে কর্মদিবসের সংখ্যা বেড়েছে। আর এই ছুটি দেওয়া হয়েছে জামাইষষ্ঠীতে যাওয়ার জন্য সরকারি কর্মীদের খুশি করতেই। সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে।
[আরও পড়ুন:বড় ঘোষণা সরকারের, অবসরপ্রাপ্ত ২৩ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর জন্য বাড়ছে পেনশন]