রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়েই ফের বাংলায় এনআরসি-র দাবি দিলীপের
রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসেই ফের একবার বাংলায় এনআরসি চালুর দাবি তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ।
অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলা। দুই মেরুতে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব। বিভাজনের রাজনীতি করে পরিবেশ উত্তপ্ত করতে চাইছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, এনআরসি নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পাশে দাঁড়াতে চাইছে তৃণমূল। আর সেজন্যই অসমের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও ক্ষমতায় এলে এনআরসি চালু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দিলীপ।
এদিন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে বাংলার নাম পরিবর্তন ও এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসেই ফের একবার বাংলায় এনআরসি চালুর দাবি তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, অসমের মাত্র কয়েকশো কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে যদি এত লক্ষ মানুষ অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে থাকে, তাহলে এই বাংলায় এনআরসি করলে দেখা যাবে অন্তত কোটিখানেকের বেশি মানুষের খোঁজ মিলবে। কারণ দুই হাজার দুশো কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্ত বিস্তৃত। তাই অবশ্যই বাংলায় এনআরসি হওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন:তৃণমূল সরকার ও মমতার বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের কাছে দরবার বিজেপির]
দিলীপের অভিযোগ, বাংলায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে বহু মানুষ এই বাংলার মানুষের জীবন-জীবিকা, রোজগার, জমিতে ভাগ বসিয়েছে। সেটা বন্ধ করতেই এনআরসি হওয়া উচিত। কেন্দ্রের কাছে এই নিয়ে আবেদনও জানানো হয়েছে বলে দিলীপ ঘোষ জানান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাংসদদের অসম বিমানবন্দরে নিগ্রহ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ঝামেলা পাকাতে গিয়েছিলেন। অসমে এত বড় ঘটনার পরও একটা ঝামেলা-অশান্তি হয়নি। তৃণমূল সাংসদরা যাতে গোলমাল পাকাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতেই অসম সরকার তাঁদের আটকে দিয়েছে। এটা একশো শতাংশ ঠিক কাজ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ! পদত্যাগ তৃণমূলের অসম শাখার প্রধানের, দেখুন ভিডিও]