নোটকাণ্ডের পরোক্ষ প্রভাব! বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়েও নেই জেটলি
তবে কি নোটকাণ্ডের পরোক্ষ প্রভাব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতি? কলকাতার মিলনমেলায় তৃতীয় বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নোটকাণ্ডের আগে। তখন স্থির ছিল তিনি আসবেন।
কলকাতা, ২০ জানুয়ারি : বাংলায় শিল্প সম্মেলনের আসর বসেছে। কিন্তু আমন্ত্রিত হয়েও আসছেন না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। শুক্রবার মিলনমেলায় বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলন উদ্বোধন হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁর আসার কোনও খবর নেই। কিন্তু কেন? গত দু'বার তো তিনি মঞ্চ আলো করেছিলেন। এবার আমন্ত্রিত হয়েও কেন নেই তিনি? প্রশ্ন উঠে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।[বঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য, বাংলায় বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান নিয়ে আজ মিলনমেলায় শুরু সম্মেলন]
তবে কি নোটকাণ্ডের পরোক্ষ প্রভাব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতি? কলকাতার মিলনমেলায় তৃতীয় বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নোটকাণ্ডের আগে। তখন স্থির ছিল তিনি আসবেন। গতবারও এসেছিলেন, এবারও তিনি থাকবেন শিল্প সম্মেলনে। যেখানে বিদেশের বহু শিল্পপতিরা আসছেন, সেখানে দেশের অর্থমন্ত্রী থাকবেন না, অন্যরকম বার্তা যেতেই পারে তাঁদের কাছে!
কিন্তু নোটকাণ্ডে তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে বৈরীতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, সৌজন্যের ছবিটা ফিকে হতে বসেছে। তাই বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতির সম্ভাবনাই প্রবল। উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। তারপর বংলার মুখ্যমন্ত্রীই দেশজুড়ে প্রতিবাদী প্রধান মুখ হয়ে ওঠেন।
নোট বাতিল ইস্যু নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে। শেষমেশ এমন জায়গায় পৌঁছয় যে বাক্যবাণে জর্জরিত হয় দু'পক্ষই। আইনি আশ্রয় নিতে হয় বহু ক্ষেত্রে। তারপর রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলের দুই সাংসদ। তাতেও দু'দলের নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব তৈরি হয়। সেই দূরত্ব আর কমল না এক আমন্ত্রণ পত্রে! অর্থমন্ত্রীর আসার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।