বৃক্ষরোপন নিয়ে বার্তা! পল্লীমঙ্গলের এবারের থিম 'অক্সিজেন'
বেহালার পল্লীমঙ্গল পুজো কমিটি 'অক্সিজেন'কেই থিম হিসাবে তুলে ধরছে সমাজ সচেতনতার জন্য।
সভ্যতার উন্নতি করতে গিয়ে চলছে নির্বিচারে গাছ কাটা। যার জেরেই পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। বাতাসে কমছে অক্সিজেনের পরিমাণ। বাড়ছে দূষণের পরিমাণ। এই অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে কমতে হয়তো একদিন এমন একটা জায়গায় এসে দাঁড়াবে যে আমাদের অক্সিজেনও কিনতে হতে পারে। সেকথা মাথায় রেখেই ৫৯তম বছরের দুর্গাপুজোয় যোধপুর পার্কের পল্লীমঙ্গল পুজো কমিটি 'অক্সিজেন'কেই থিম হিসাবে তুলে ধরছে সমাজ সচেতনতার জন্য।
পল্লীমঙ্গলের জনসংযোগ আধিকারিক সর্বজিৎ রায় তাদের ক্লাবের থিমের বিষয়ে জানান, যত দিন যাচ্ছে ততই বাতাসের স্নিগ্ধতা কমছে। বাড়ছে দূষণের মাত্রা। যার অন্যতম কারণ ধীরে কমছে অক্সিজেনের পরিমাণ। তাই চাহিদা মেটাতে আগামী দিন তৈরি করতে হবে অক্সিজেন বাক্স। ঠিক যেভাবে এখন ওয়াটার এটিএম ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাই মানুষকে প্রচুর গাছ লাগানোর বার্তা দিতে 'অক্সিজেন এটিএম'কে থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের পল্লীমঙ্গল পূজা কমিটি।
শিল্পী অরূপ মজুমদারের ভাবনায় উঠে এসেছে, 'এখনই আমাদের প্রয়োজনীয় জল কিনে খেতে হয়। যার জন্য তৈরি হয়েছে জলের কারখানাও। তাই আগামী দিনের কথা ভেবে রাস্তার ধারে তৈরি করা হবে অক্সিজেন এটিএম ব্যাঙ্ক। জন সচেতনতা বাড়াতে মণ্ডপে থাকবে অক্সিজেন এটিএমও। থাকবে অক্সিজেন তৈরির ল্যাবরেটরিও। সেই ভাবনাচিন্তা থেকেই সাউথ সিটির কাছে তালতলা মাঠের পল্লীমঙ্গলে ঢুকলেই প্রথমে চোখে পড়বে একটি অক্সিজেন ব্যাঙ্ক। এটিএমের মতো দেখতে অক্সিজেন ব্যাঙ্কের পাশ দিয়ে মণ্ডপের দিকে এগোতে গেলে চারপাশের মানুষ, গরু সহ অক্সিজেন মাস্ক পরা জীবন্ত কিছু প্রাণীকে ঘুরতেও দেখা যাবে।
[আরও পড়ুন:টাকি জমিদার বাড়ির পুজো! সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে]
এখান থেকে মূল মন্ডপ অর্থাৎ ল্যাবরেটরির ভিতরে ঢুকলেই চারদিক থেকে ধোঁয়ার মধ্যে পড়তে হবে। সেখান থেকে একটু এগোলে সামনে মিলবে বট গাছের প্রতিবিম্ব। বট গাছের নিচে পৌছলে অক্সিজেন পাওয়া যাবে। সেখানেই রয়েছে দেবী দুর্গা। থিমের আর মণ্ডপের সঙ্গে মিলিয়ে মন্ডপের ভিতরে থাকবে আবহসঙ্গীতও। পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, 'এই উৎসবের আনন্দের মধ্যে দিয়ে মানব সচেতনতার বার্তা দিতে পেরে আমরা খুশি। বাকীটা বলবেন দর্শনার্থীরা।
[আরও পড়ুন:হারিয়ে যেতে বসা বাংলার লোকশিল্পকে এবার তুলে ধরছে হালসিবাগান সর্বজনীন]