দুই পাড়ার সংঘর্ষে চলল গুলিও, রণক্ষেত্র বেহালায় ভাঙচুর তৃণমূলের পার্টি অফিস-বাড়িঘড়ও
দুই পাড়ার সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বেহালা। কলকাতার উপকণ্ঠেই চড়ক মেলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। বাঁশ-লাঠি নিয়ে মারধর, যুদ্ধং দেহি মেজাজের মধ্যেই চলে গুলিও। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন কয়েকজন।
দুই পাড়ার সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বেহালা। কলকাতার উপকণ্ঠেই চড়ক মেলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। বাঁশ-লাঠি নিয়ে মারধর, যুদ্ধং দেহি মেজাজের মধ্যেই চলে গুলিও। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন কয়েকজন। তৃণমূলের পার্টি অফিসের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বড়ি ও গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে বেহালার চড়কতলায়। স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে ভাঙচুর চলে। ভেঙে দেওয়া হয় সিসি ক্যামেরা, জানালার কাচ। সংঘর্ষের আঁচ গিয়ে পড়ে স্থানীয় কিছু বাড়িতেও। বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আর ভাঙা হয় বাইক। ১০টি বাড়ি ও বেশ কয়েকটি গাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এরই মধ্যে ঘটে গুলি চালানোর ঘটনা। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বেহালা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে এলাকায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা।
চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। সন্ধ্যেবেলায় এই ঝামেলার সূত্রপাত। তা তখনকার মতো মিটে যায়। ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনা সাংঘাতিক রূপ নেয় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ। বেহালার চড়কতলায় শ-খানেক যুবক জড়ো হয়ে তৃণমূলকর্মীদের মারধর করে। দু-পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টি ও বোতল ছোড়াছুড়ি হয়। সেসময় কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ পুলিশের সামনে গুলি চালানো হয়েছে। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। এরপর রাত একটা নাগাদ ফের বাইকবাহিনী হানা দেয়। বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাড়ি ও বাইক ভাঙচুর করা হয়। এলাকা রাতভর উত্তপ্ত ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করার পরও বাইকবাহিনী তাণ্ডব চালিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জেলায় জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে মারামারি, গন্ডগোল চলছে। বেহালার চড়কতলা-কাণ্ডে সএমনই প্রতিক্রিয়া দিলীপবাবুর। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ না কি এটা তৃণমূল বনাম বিজেপির সংঘর্ষ, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।