আজ কেন্দ্রের জমি বিলের বিরোধিতায় পথে নামছেন মমতা, সঙ্গে পুরভোটের প্রচার
কলকাতা, ৮ এপ্রিল : পুরভোটের ফের একবার সংখ্যাগরিষ্ঠা পেতে সিপিএম কংগ্রেস নয়, এরাজ্যে বিজেপিই যে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ তা বিলক্ষণ বুঝেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই ফের একবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার নয়া কৌশল নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোট রাজনীতি ? পুরভোটের আগে জমি বিল নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে মমতা
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আনা জমি অধিগ্রহণ বিলের বিরোধিতা করে আজ কলকাতার রাজপথে নেমে প্রতিবাদ দেখাবেন তিনি। একইসঙ্গে এদিন পুরভোটের প্রচারও তিনি শুরু করবেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
আজ মৌলালি থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত ধিক্কার মিছিল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। যার নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া বিভিন্ন জেলার ব্লকে-ব্লকে প্রতিবাদ সংগঠিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কালো ব্যাজ পরে ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে পথে নামতে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে কয়লা ও খনি বিলে সরাসরি সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিমা বিলে প্রথমে বিরোধিতার কথা বলেও পরে রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউটের সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সাংসদরা।
১৮ ও ২৫ তারিখ রাজ্যের ৯৩ টি পুরসভার ভোট
তবে জমি বিলের বিরোধিতার ক্ষেত্রে এত তৎপরতা কেন তৃণমূলের? ভোটের আগে তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তেই হঠাৎ করে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। কারণ কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের জন্য একাধিক আবদার করে আসেন মুখ্শমন্ত্রী। তাই বিরোধীরা কটাক্ষ করে এই সিদ্ধান্তকে মমতার দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই মনে করছেন না। সিপিএম, বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস সবাই একযোগে মমতার সিদ্ধান্তে ভোট-রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। ভোট জিততেই এই চমক বলে মনে করছেন অনেকে। ১৮ ও ২৫ তারিখ রাজ্যের ৯৩ টি পুরসভার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কৌশলী রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্যের সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিতে পথে মমতা!
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন সংখ্যালঘু বিরোধী বলে সমালোচিত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তেমনই রাজ্যের কৃষক ও কৃষিজীবী মানুষের সঙ্গে যে তিনি এখনও একইরকমভাবে রয়েছেন সেই বার্তাও স্পষ্ট করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বস্তুত, কম-বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও কলকাতা সহ প্রায় সবকটি পুরসভাতেই তৃণমূলের সংখ্যাধিক্য প্রশ্নাতীত। যে কটি বিরোধীদের দখলে রয়েছে সেগুলিতেও এবার ভালো ফল হবে বলে আশা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তার উপর সংখ্যালঘু ভোটের যেটুকু হাতছাড়া হয়েছে তা যদি ফের ঝুলিতে এসে যায় তাহলে বিরোধীদের উৎখাত করতে সময় লাগবে না। আর তাই নেত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দলের সব তলার কর্মীরা।