কালীপুজো–দিওয়ালির আগেই ফের দূষিত হচ্ছে কলকাতার বাতাস
দিল্লি বা অন্য শহরের তুলনায় বাতাসের গুণগত মানের নিরিখে কলকাতার হাওয়া বেশ সন্তোষজনক এবং মাঝারি স্তরেই ছিল। এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বাতাসে কোনও দূষিত পদার্থ পাওয়া না গেলেও, কালীপুজো–দিওয়ালি উপলক্ষ্যে বুধবার থেকেই বাতাসের অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, বুধবার রাত ন’টা নাগাদ ফোর্ট উইলিয়ামের স্বয়ংক্রিয় বায়ুর মান সূচকে দেখা গেল তা দাঁড়িয়ে রয়েছে ২১৮–তে। যেখানে ওই স্থানটি সবুজ বেল্ট ময়দান এলাকায় অবস্থিত। উত্তর কলকাতার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা রবীন্দ্র ভারতী এলাকায় বায়ুর মান সূচক নেমে এসেছে ২৬৫–তে। যা অত্যন্ত দুর্বল বাতাসের পরিচয় দিচ্ছে।

বাতাসের মান সূচকে যাদবপুর ১৬৯ এবং বালিগঞ্জ ১১৫, উভয়ই মাঝামাঝি স্থানে রয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। বাতাসের মান সূচকে ০ থেকে ৫০–কে ভালো ধরা হয়, ৫১ থেকে ১০০ সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ মাধঝামাঝি এবং ২০১ থেকে ৩০০ দুর্বল এবং ৩০১ থেকে ৪০০ খুব দুর্বল এবং ৪০১ থেকে ৫০০ তীব্র খারাপ। ভিক্টোরিয়ার এয়ার মনিটরিং স্টেশন থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
রবিবার কলকাতার বায়ুর মান ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দূষণ পর্ষদ চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানান, বছরের এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ উচ্চ মাত্রায় থাকে, এইসময়ই সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দূষণকারী সূক্ষ্ম পার্টিকুলেট পদার্থ ২.৫ (পিএম ২.৫)–এর বৃদ্ধি ঘটায়। তবে দূষণ পর্ষদ বায়ু দূষণের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এখন থেকে কাজ করছে, যা আগামী দিনে ফলপ্রসু হবে।
পরিবেশবিদ এস এম ঘোষ জানান, দিওয়ালি–কালীপুজোর সময় এবং তার পরেও কলকাতার বায়ুর মান বেশ দুর্বল হয়ে পড়বে। তিনি জানান, শব্দবাজি ফাটালে আলো এবং শব্দ দু’টোই তার তীব্র হয়। দূষণ পর্ষদের উচিত সবুজ বাজির প্রচার করার। যাতে দূষণও কম হবে এবং কানের পক্ষেও যা সুখকর। পুলিশি অভিযানে গত সাতদিনে ৫ হাজার নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দূষণ পর্ষদও নিষিদ্ধ বীআজির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।