কলকাতার পুলিশ কনস্টেবলকে নৃশংস হত্যা! দোষী সাব্যস্ত সব অভিযুক্ত
এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিশরপাড়া এলাকার বাসিন্দা কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দামের খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সাতজন। ২০১২ সালে দোলের দিন এই খুনের ঘটনা ঘটে। ভাগ্নীকে রঙ মাখাতে গেলে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন
এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিশরপাড়া এলাকার বাসিন্দা কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দামের খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সাতজন। ২০১২ সালে দোলের দিন এই খুনের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ভাগ্নীকে রঙ মাখাতে গেলে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অসীম দাম। সেই সময় তাঁকে আঘাত করা হয়েছিল।
পুলিশ খুনের মামলায় ধৃত সাতজনকেই দোষী সাব্যস্ত করল ব্যারাকপুর আদালত। আইপিসি ৩০২, ৩০৭, ৩২৪, ৩৫৪-সহ আরও বেশ কয়েকটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ধারাগুলির মধ্যে রয়েছে শ্লীলতাহানি ও খুনের ধারা। বৃহস্পতিবার দোষীদের বক্তব্য শোনার পর, শাস্তি ঘোষণা করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিশরপাড়া এলাকায় থাকতেন কলকাতা পুলিশের এন্টালি থানার কনস্টেবল অসীম দাম। অভিযোগ ২০১২-র মার্চে দোলের দিন, প্রসেনজিৎ দত্ত ওরফে পক্কা, বিশ্ববিৎ ঘোষ, অভিজিৎ ঘোষ, দেবু মুখোপাধ্যায়, কুন্তল চক্রবর্তী-সহ সাতজন রঙ খেলার নাম করে জোর করে ঢোকে। অসীম দামের ভাগ্নীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে তখনকার মতো এলাকা ছাড়ে অভিযুক্তরা।
অভিযোগ ঘন্টাখানেক পরে অভিযুক্তরা ফিরে এসেছিল এবং কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দামের ওপর হামলা চালায়। মাথায় লোহার রড ও হকি স্টিক দিয়ে মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তিনদিন পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল অসীম দামের।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাক্ষ্য-প্রমাণ জমা করা হয়েছিল এবং প্রধান সাক্ষী অসীম দামের ভাগ্নীর বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়েছিল। সব খতিয়ে দেখার পর বিচারক সব অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করেন।