
আত্মহত্যার আগে ইমেল! ফ্ল্যাটে গিয়ে বাঁশদ্রোণীর পুলিশ পেল লিভ-ইন-এ থাকা যুগলের দেহ
আত্মহ্ত্যা (suicide) করার আগে পুলিশকে (police) ইমেল (email)। এমনই ঘটনা ঘটেছে বাঁশদ্রোণীতে। আত্মহত্যা করেছে লিভ ইনে থাকা যুগল। তাঁরা ঘুমের ওষুধ খেয়েছে বলেই অনুমান পুলিশে। এই ঘটনায় ওই যুগল পুলিশকে তদন্ত করতেও বারণ করেছেন। কেননা তাতে বিশেষ কিছু পাওয়া যাবে না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুইসাইড নোটে তাঁরা লিখেছেন, যৌথভাবে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

সকালে ইমেল
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল নটা বেজে দুই মিনিটে মেইলটি করে ওই যুগল রিয়া সরকার ও ঋষিকেশ পাল। থানার অফিসিয়াল আইডি তাই বলছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে আত্মহত্যার ইঙ্গিত তারা দিয়েছিল।

পুলিশ ছুটলেও রক্ষা হয়নি
মেইল পেয়েই পুলিশ বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের বাড়ি খোঁজ করে সেখানে যায়। পুলিশ যখন বাড়িতে যায়, তখন বাজে ৯.২০। কিন্তু পুলিশ গিয়ে দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। মাত্র ১৮ মিনিটেই দুজন আত্মহত্যা করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে আরামবাগের বাসিন্দা ঋষিকেশ ওষুধের ব্যবসা করলেও গত বছর দুয়েক তা চলছিল না। অন্যদিকে রিয়া কাজ করতেন একটি বিউটি পার্লারে।

বন্ধুদের উইল করে আত্মহত্যা
আত্মহত্যার আগে বন্ধুদের উদ্দেশে উইলও করে গিয়েছে ঋশিকেশ ও রিয়া। উইলে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন ঋষিকেশ, তাঁদের জানিয়েছিলেন, কেউই নেই। তাই যদি মারা যায়, তাহলে রাস্তায় না ফেলে রেখে যেন বন্ধুরা সৎকার করে। তবে বন্ধুরা জানিয়েছেন, দুজনই লাক্সারিভাবে থাকতে পছন্দ করত। একটা সময়ে আর্থিক অনটনে বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট বিক্রি করে ব্রহ্মপুরে বাড়ি ভাড়া নেয়। বন্ধুদের সঙ্গে দিঘাতেও ঘুরতে গিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু কারও কাছেই বলেনি ওরা বিয়ে করেনি, লিভ-ইন-এ থাকত।
তবে শহরে এইভাবে পুলিশকে মেইল করে, বন্ধুদের দেহ দেওয়ার জন্য ইউল করে আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

রিয়া বাড়ি ছেড়েছিল ২০২০-র জানুয়ারিতে
রিয়া সরকারের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, ২০২০-র জানুয়ারিতে বাড়ি ছাড়ে রিয়া। ছেলেটি বিয়ে করতে রাজি না হলেও, তার সঙ্গেই থাকত এবং তার জন্য বাবা-মাকেও ছেড়ে যায় সে।