লালবাজার কাণ্ড : নেতৃত্ব জামিন মিললেও পুলিশ হেফাজতেই ৭ বিজেপি কর্মী
সিপিএমের নবান্ন অভিযানে ধৃত কর্মীদের জামিন মিলেছিল আদালতে, কিন্তু বিজেপি কর্মীদের জামিন এদিন খারিজ করে দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত।
বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ সাত নেতা-নেত্রী জামিন পেলেও সাতজন কর্মীর জামিন খারিজ করে দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। তাঁদের তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ মে তাঁদের ফের আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে ওই সাত কর্মীর বিরুদ্ধে।
লালবাজার অভিযানে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব-সহ ধৃত ১৩৪ জনকে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। সাতজনের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। বাকি সাতজনকে জামিন দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে জামিন পান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা।
এদিন জামিন পাওয়ার পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, বিজেপি-র কেউ হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। বিজেপি-র কেউ বোমা ছোড়েনি। বহিরাগতরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ এই ঘটনা জড়িত থাকতে পারে বলে তাঁর অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের কাছে লকআপেই জামিন নেওয়ার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব তা খারিজ করে দেয়। আদালত থেকেই তাঁরা জামিন নেবেন বলে পুলিশকে সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা। সেইমতো পুলিশ লকআপেই রাত কাটায় বিজেপি নেতৃত্ব।