সুজন,আনিসুর-সহ ২৪ বাম বিধায়ককে ছাড় দিল পুলিশ, ধৃত ১২ বামকর্মীকে জামিন আদালতের
কথায় আছে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলু-খাগড়ার প্রাণ যায়। বামেদের নবান্ন অভিযানে তেমনই ঘটনার দৃষ্টান্ত সামনে এল। যা নিয়ে এখন পুরোমাত্রায় শুরু হতে পারে নয়া বিতর্ক।
সব নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ছাড়া পাননি ১২ জন বামকর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করার পর ৪০০ টাকার বন্ডে জামিন পেলেন ১২ জন কর্মী।এঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করায় আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছিল বামফ্রন্ট।
১২ জন বামকর্মীর বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর উপর হামলা, সরকার সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। মোট ছ'টি মামলা দায়ের করা হয়েছে হেস্টিংস ও ময়দান থানায়। মঙ্গলবার সেই মামলায় ১২ বামকর্মীকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সেখানেই বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
২২মে দুপুর থেকেই বামেদের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে গঙ্গার দুপার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। হাওড়া ও কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বামকর্মী ও পুলিশের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। ইটবৃষ্টির পাল্টা নির্দয় লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জে জখম হন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, বিমান বসু, এমনকী প্রহৃত নেতা-কর্মী-সাংবাদিকদের দেখতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল মান্নানও।
অভিযান শুরুর আগে থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছিল। নবান্নে ঢুকতে গিয়ে আটক হন সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য-সহ পাঁচ বাম বিধায়ক। পরে আরও ১৯ বাম বিধায়ক গ্রেফতার হন। গ্রেফতার হন অনেক নেতা-কর্মীরাও। বারবার সুজন চক্রবর্তীরা জানতে চান তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে নাকি আটক করা হয়েছে। পুলিশ যথাযথ উত্তর দেয়নি বলে অভিযোগ।
তবে ২২মে রাতেই সুজন চক্রবর্তী-সহ ২৪ জন বাম বিধায়ক ও অন্যান্য নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও, ১২ জন বামকর্মীকে কিন্তু ছাড়া হয়নি। শেষমেশ ২৩ মে আদালত থেকে তাঁদের জামিন নিতে হল।