ফিরদৌসের পর তৃণমূলের প্রচারে বাংলাদেশের নুর! কেন হাজির, ব্যাখ্যা দিলেন অভিনেতা
বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌস এ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে সামিল হওয়ায় তুমুল বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে আর এক বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা গাজী আব্দুন নুরের ভোট প্রচারে অংশ নেওয়া নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধল।
বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌস এ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে সামিল হওয়ায় তুমুল বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে আর এক বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা গাজী আব্দুন নুরের ভোট প্রচারে অংশ নেওয়া নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধল। নুরকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তনমন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে এক নির্বাচনী প্রচারসভায় দেখা যায়, তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে।
রাজনীতিতে নেই, কৃতজ্ঞতায়
এই ঘটনায় নুর নিজে প্রতিবাদী হন। তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার আগ্রহ নেই। তবে এ দেশের প্রতি অর্থাৎ ভারতের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে, সে কারণেই ভারতবর্ষের প্রতি একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমি কৃতজ্ঞ। আমি বাংলাদেশি হাই কমিশনেও বিষয়টি জানিয়েছি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড়
নুর বলেন, আমাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে তা একেবারেই অনুচিত। কারণ আমি কোন জনসভাতে বা কর্মিসভায় রাজনৈতিক প্রচারে যাইনি। নেহাতই মদন মিত্রের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভালো সম্পর্ক, সেই জায়গা থেকেই আমি তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলাম।
হাত মিলিয়েছি মাত্র
তিনি আরও বলেন, সেদিন দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার পথে আমার কাছে কোনও গাড়ি ছিল না। উনি নামিয়ে দেবেন বলেছিলেন, তবে সেখানে গিয়ে দেখি, সেখানে একটি নির্বাচনী প্রচারসভা চলছে। সেখানে আমি কোনও বক্তৃতা রাখিনি। যেহেতু আমি পরিচিত মুখ, তাই সকলেই আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছি মাত্র।
মদনদার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক
নুর বলেন, আমি ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র মদন মিত্রের সঙ্গে আমার সখ্যতার কারণে। আমি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। সেই সময় থেকেই মদনদার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার মা যখন বাংলাদেশ থেকে এখানে চিকিৎসার জন্য আসেন, তখনও মদনদা খুব সাহায্য করেছিলেন।
[আরও পড়ুন:মুকুলের এক চালে খোঁড়া হয়ে গেলেন তৃণমূলের ‘ঘোড়া'! ভোটের ভরা মরশুমে ‘গৃহবন্দি']
প্রার্থী কে, জানা ছিল না
নুর বলেন, ওই কেন্দ্রে কোন প্রার্থী দাঁড়িয়েছে সেটাও আমার জানা ছিল না। সেখানে গিয়ে দেখি সৌগত রায় ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর সমর্থনেই জনসভা ছিল। এদিন নুর আরও জানান, ফিরদৌস আমার দেশের ছেলে। উনি একজন ভালো আর্টিস্ট। তবে উনি যদি নির্বাচনী প্রোটোকল ভেঙে কোন প্রচারে গিয়ে থাকেন, তাহলে তা নির্বাচন কমিশন বুঝবে। এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না।
[আরও পড়ুন:অনুব্রতর গড়ে মোদীর সভা ঘিরে জটিলতা! বাম-ধাক্কায় ব্যাকফুটে পদ্মশিবির ]
বিরোধীদের অভিযোগ
যদিও বিরোধীদের দাবি নুর সব কিছু জেনেই রাম নবমীতে প্রচারে নেমেছিলেন। সে কথা আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েওছিলেন। সেদিন খোলকরতাল নিয়ে বেরিয়েছিলেন মদন মিত্র। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন নুর। ভবানীপুর এলাকায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের মিছিলে। এছাড়াও এর আগে তৃণমূলের একাধিক কর্মসূচিতে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে। ওই মিছিলেই অংশ নিয়েছিলেন নূর। তাছাড়ামদন মিত্রের সঙ্গে সৌগত রায়ের সমর্থনে প্রচারে নেমেছিলেন 'রাণী রাসমণি'র রাজা রাজ চন্দ্রের অভিনেতা গাজি আবদুন নুর। জানা গিয়েছে, এদেশে কাজের অনুমোদনপত্র ছিল তাঁর। সেই হিসেবেই ভিসা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক প্রচারে সামিল হন নুর।