বছরের শুরুতেই রসনাতৃপ্তির সুখবর, পদ্মার ইলিশ এবার সোজা পথে এপার বাংলায়
বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এই ইলিশের অভাব মিটতে চলেছে ভারতের বাজারে।
ভোজনপ্রিয় বাঙালির জন্য বছরের শুরুতেই সুখবর। এবার তাঁদের রসনাতৃপ্তি রহবে পদ্মার ইলিশে। বাঙালির পাতে এবার ভরপুর থাকবে পদ্মার ইলিশ। বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এই ইলিশের অভাব মিটতে চলেছে ভারতের বাজারে। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ জানান, তাঁরা ইলিশ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছেন। ফলে এবার থেকে ভারত তথা এপার বাংলায় পদ্মার ইলিশের প্রাচুর্য বাড়বে।
বাংলাদেশ ইলিশের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় পাচারের প্রবণতা বাড়ছিল। চোরাপথে ইলিশ আসত এপারে। সেই ইলিশে চাহিদা মিটত না ঠিকই, বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল। সেই কারণেই বাংলাদেশ সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ফের ইলিশ রফতানি শুরু করতে চায়। মন্ত্রী নিজেই জানান, চোরাপথে ইলিশ চলে যাওয়ায় এতদিন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল বাংলাদেশ।
২০১২ সালে ১ আগস্ট ইলিশ-সহ সব ধরনের মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে ওই বছরই অন্য মাছের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। এতদিন শুধু ইলিশ মাছের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এখনও তাও লঘু করে দেওয়া হল। এখন আর কোনও মাছের ক্ষেত্রেই রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। ফলে ভারতের সঙ্গে রফতানির দুয়ারও খুলে গেল। এপার বাংলাও আর ওপার বাংলার পদ্মার ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবে না।
বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দাম অনেক বেশি। সেই দাম না কমিয়ে বাংলাদেশ সরকার রফতানিতেই জোর দিতে চাইছে। এ প্রসঙ্গে সরকারের যুক্তি, অবৈধভাবে অনেক মাছ বাইরে চলে যাচ্ছে, সেই মাছ ফিরিয়ে আনতে হবে। বড় মাছ ফেরাতে চোরাপথ বন্ধ করতে হবে। বিজিবের সঙ্গে বৈঠক করেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নৌবাহিনী থেকে থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষার দায়িত্ব থাকা উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও গুরুদায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।