শোভন ফের শিরোনামে, বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় রত্নার আপত্তি উড়িয়ে সাক্ষ্য বৈশাখীর
শোভন চট্টোপাধ্যায় আবার খবরের শিরোনামে। এবার বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় তিনি আদালতে হাজির হলেন। সঙ্গে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন-রত্নার বিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষী দিলেন বান্ধবী বৈশাখী। আদালতে জমা পড়ল হলফনামা।
শোভন চট্টোপাধ্যায় আবার খবরের শিরোনামে। এবার বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় তিনি আদালতে হাজির হলেন। সঙ্গে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন-রত্নার বিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষী দিলেন বান্ধবী বৈশাখী। আদালতে জমা পড়ল হলফনামা। তা নিয়ে ফের উত্তপ্ত হল আলিপুর আদালত।
শুধু শোভন-বৈশাখী নন, হাজির ছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ও। শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় শুক্রবার সাক্ষী দেন বৈশাখী। মামলার পরবর্তী শুনানির দিনও তিনি হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে রত্নার বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু করেছিলেন শোভন।
প্রায় ৫ বছর হয়ে গেল এই বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। আইনি লড়াই চলছে। এদিকে মাঝে-মধ্যেই শোভন-রত্নার মধ্যে বিষোদ্গার চলছে। এমনকী বৈশাখীকেও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। মোট কথা শোভন-রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় এখনও টক্কর চলছে সমানে।
শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। মামলার শুনানিতে আলিপুর আদালতে হাজির ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যয়া, বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ও। এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল বৈশাখীর। তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেনও।
এই সাক্ষ্যদান প্রক্রিয়া চলাকালীন কিছু বিস্ফোরক তথ্য দেন বৈশাখী। তার মধ্যে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের পাঠানো কিছু হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ, কিছু সাক্ষাৎকার, সিডি আকারে জমা দেওয়া হয়েছে। এদিকে আদালতে বৈশাখীর বয়ান জমা দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানানো হয় রত্না চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে।
আদালত এদিন রত্নার সেই আপত্তি মঞ্জুর করেনি। বৈশাখীর বয়ান মঞ্জুর করা হয়। আগামী ৩০ জানুয়ারি শোভন-রত্নীর বিবাহ-বিচ্ছেদ মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনও আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন বৈশাখী। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এর আগেও তিনি মুখ খুলেছিলেন। তবে আইনি বয়ান দিলেন এই প্রথম।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দূরত্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখা গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বহু দায়িত্বে থাকলেও তিনি নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ছিলেন। ফলে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়।
তৃণমূলে প্রায় ৯ মাস অন্তরালে থাকার পর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সেখানে গিয়েও সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি আসতে পারেননি। নানা জটিলতা তাঁকে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে দেয়নি। ২০২১-এর ভোট পর্বে কিছুদিন তিনি সক্রিয় হয়েছিলেন। কিন্তু ভোট-পর্বের মধ্যেই তিনি বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। এখন তিনি তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।