বড় ধাক্কা অনুব্রত মণ্ডলের! গরু পাচার মামলায় জামিনের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে
গরু পাচার মামলাতে বড় ধাক্কা অনুব্রত মণ্ডলের। জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার রায়দিন ছিল। আর সেই মতো এখনই অনুব্রত মণ্ডলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব নয় বলে স্
গরু পাচার মামলাতে বড় ধাক্কা অনুব্রত মণ্ডলের। জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার রায়দিন ছিল। আর সেই মতো এখনই অনুব্রত মণ্ডলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট বার্তা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের। ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে তৃণমূলের বীরভূমের বেতাজ বাদশাকে।
হাইকোর্টের এই রায় অবশ্যই বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন আগেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে জামিন চেয়ে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল। কয়েক দফাতে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে বারবার অনুব্রত মন্ডলের প্রভাবশালীর তত্ত্ব সামনে এসেছে। এমনকি মামলা চলাকালীন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে কলকাতা হাইকোর্টে। এমনকি পুলিশের পর্যবেক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা।
তবে মামলার শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে আইনজীবী একাধিক যুক্তি তুলে ধরেন। আইনজীবী জানান, সতীশ কুমার-সহ অন্য অভিযুক্তরা জামিন পেয়েছেন। কিন্তু কেন অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪৬ দিন ধরে জেলবন্দি করে রাখা হয়? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেষ্টর আইনজীবী।
যদিও মামলার শুনানি চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। বিশেষ করে প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে আনা হয়। এমনকি অনুব্রত মণ্ডলকে পলিটিক্যাল জায়ান্ট বলেও উল্লেখ করে সিবিআই। জামিন পেলে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত প্রভাবিত করার একটা আশঙ্কা থাকবে বলেও শুনানিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়াও বগটুই-কাণ্ডের প্রসঙ্গও আদালতে তোলেন আইনজীবীরা।
এদিন মামলার শুনানিতে ছিলেন সিবিআইয়ের তরফে ভিপি সিং এবং কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণ কুমার মহান্তি (মাইতি)।
তবে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার এই মামলার রায়দান স্থগিত রাখে। আজ বুধবার রায় ঘোষণার কথা ছিল। সেই মতো এদিন আদালত অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তদন্ত চলছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে মামলাকারীর জামিন মঞ্জুর করার আবেদনে সন্মতি দেওয়া সম্ভব নয়।
এই মুহূর্তে আসানসোল জেলে বিচারাধীন রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। মাঝে শিবঠাকুরের মামলাতে গত্ন কয়েকদিন আগে দুবরাজপুর থানার পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেন। যদিও সেই মামলার শুনানিতে স্থানীয় নিম্ন আদালত অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করেছে। যদিও জামিন মিললেও জেল মুক্তি হয়নি তৃণমূল নেতার। তবে হাইকোর্টে জামিনের আবেদনের শুনানি নিয়ে কিছুটা আশ্বস্ত ছিলেন নাকি তিনি।
তবে হাইকোর্টের জামিন না মঞ্ঝুর করার নির্দেশ সামনে আসতেই আদালতের মধ্যেই কিছুটা ভেঙে পড়েছেন অনুব্রত। এমনটাই খবর।