মমতার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ, ক্ষমা চাইতে হবে অমিতকে, ফুঁসে উঠলেন অভিষেক
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মিথ্য অভিযোগ করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁকে এই নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মিথ্য অভিযোগ করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁকে এই নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। টুইটারে সরাসরি অমিত শাহকে আক্রমণ করে বিঁধলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের ফারাতে রাজি নয় রাজ্য সরকার এমনই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি লিখেছেন অমিত শাহ। তার প্রেক্ষিতেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আক্রমণ।
অমিত শাহের চিঠি মমতােক
কর্নাটক, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্য থেকে বাংলার শ্রমিকদের ফেরাতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুতেই তিনি অনুমতি দিচ্ছেন না এমনই অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রেক্ষিতে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কড়া চিঠি পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অমানবিক বলে চিঠিতে লিখেছেন অমিত শাহ। পরিযায়ী শ্রমিকদের না ফিরিয়ে তিনি ঠিক করছেন না বলেও লেখা হয়েছে।
অমিতকে পাল্টা আক্রমণ অভিষেকের
অমিত শাহের এই চিঠি প্রাপ্তির পরেই ফুঁসে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিেষক। এর জন্য অমিত শাহকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণ করে দেখান অমিত শাহকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে নারাজ
মহারাষ্ট্র, কর্নাটকে আটকে রয়েছে অসংখ্যা বাংলার শ্রমিক। তাঁদের ফেরানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এখনও সেই চিঠির জবাব দেননি। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে সেখানে আটকে থাকা শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র থেকে বাংলার শ্রমিকদের ফেরানো হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। কারণ সেখানে করোনা সংক্রমণ সর্বাধিক। তাঁরা রাজ্যে এলে আরও সংক্রমণ বাড়বে।
কর্নাটকে অসন্তোষ
দেশে ফিরতে না পেরে কর্নাটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বাংলার শ্রমিকরা। এই নিয়ে রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। দলের মুখপাত্র গণশক্তিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক অভিযোগ করেছেন, মমতা সরকারের জন্যই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়িতে ফিরতে পারছেন না।