এখনও প্রায় ৬০০ উপভোক্তার রয়ে গিয়েছে ঝুঁকি! এটিএম তদন্তে বেড়েই চলেছে ক্ষতির আশঙ্কা
কলকাতা পুলিশের আশঙ্কা এখনও ৬০০-রও বেশি উপভোক্তার এটিএম জালিয়াতির শিকার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ন্য়াশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এটিএম জালিয়াতির তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই যেন বেড়ে যাচ্ছে ক্ষতির আশঙ্কা। এখন তদন্তকারীরা মনে করছেন এখনও ৬০০-রও বেশি গ্রাহক জালিয়াতির শিকার হতে পারেন। এঁরা প্রত্যেকেই এপ্রিল-জুলাই মাসে গোলপার্কের কানাড়া ব্যাঙ্কের এটিএম, পার্ক স্ট্রিটের পিএনবি-র এটিএম বা এলগিন রোডের কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলেছিলেন।
এই তিনটি এটিএম-এই আপাতত জালিয়াতির ফাঁদ পাতা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। শুধুমাত্র কানারা ব্যাঙ্কের এটিএম-টি থেকেই ২৭৫ জনের মতো গ্রাহকের ডেবিট কার্ডের তথ্য চুরি করা হয়েছে। এরমধ্যে এখনও অবধি মাত্র ৪২জনই অর্থ খোয়া যাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। কাজেই পুলিশ মনে করছে ৩টি এটিএম মিলিয়ে খুব কম হলেও মোট তথ্য চুরি যাওয়া উপভোক্তার সংখ্যাটা ৬০০ ছাড়িয়ে যাবে। ন্য়াশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে কানাড়া ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে তাদের উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উধাও হওয়া আটকাতে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, সবাইকে যে কার্ড বল্ক করে দিতে হবে তা নয়। কার্ডের পিন নম্বর বদলে দিলেও চলবে।
তবে আটক দুই রোমানিয়ান নাগরিক এই কাণ্ডের নেহাতই চুনোপুটি হলে মনে করছে পুলিশ। তাদের অনুমান এদেরকে এটিএম-এ স্কিমার লাগানোর মতো গ্রাউন্ড ওয়ার্কের কাজে লাগানো হত। দূরে বসে তথ্যচুরির কাজ সাড়ত বড় মাথারা। তবে এই গ্যাঙটির ডালপালা অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে অনুমান পুলিশের। দিল্লির হাউজ খাস এলাকার এক ভাড়া বাড়ি থেকে এই দুজনের সহকারী তৃতীয় একজনের পাসপোর্ট মিলেছে। কসবার যে হোটেল থেকে এই দুইজন আটক করা হয়, সেখানে ওই দুই মাসে প্রায় ১০-১২ জন রোমানিয়ান ঘাঁটি গেড়েছিল বলে জানান হয়েছে হোটেলের তরফে।