ফুচকা তো খেতেনই, কলকাতায় এলে বেগুনি-মুড়ির লোভ ছাড়তে পারতেন না বাজপেয়ী
অসম্ভব ভোজনরসিক ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। কলকাতায় এলেই তাঁর মন পড়ে থাকত, কয়েকটা বিশেষ খাবারের দিক। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ফুচকা। রাস্তার ধারে ফুচকা একবার দেখলেই হল, অমনি অর্ডার আসত, আজ একটু ফুচকা খেলে হত। অমনি বসে যেত ফুচকার আসর। জমিয়ে বসে ফুচকা খেতেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। ফুচকা খেতেন বেশ ঝাল ঝাল।

শুধু কি ফুচকা! কলকাতায় এলেই তিনি খেতেন মুড়ি। ফোলা ফোলা মুড়ি তাঁর খুব পছন্দের ছিল। সেইসঙ্গে যদি তেলেভাজা থাকত তো কথাই নেই। বিশেষ করে বেগুনি-মুড়ি তাঁর খুব পছন্দের। বেশ গুছিয়ে খেতে ভালোবাসতেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। কলকাতায় এলেই তাঁর পছন্দের খাবারের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ হয়ে যেত।
[আরও পড়ুন:মাত্র ১ ভোটে হেরে পড়ে গিয়েছিল বাজপেয়ীর ১৩ মাসের সরকার]
ফুচকা, তেলেভাজা-মুড়ির পাশাপাশি বাঙালি খাবারে ছিল তাঁর ঝোঁক। উঠতেন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের ঘনশ্যাম বেরিয়ালের বাড়িতে। ঘনশ্যামবাবুদের বাড়িতে আমিষ হত না। তাই আমিষ খেতে ইচ্ছা হলেই চলে যেতেন পার্কস্ট্রিটের রেস্তোরাঁয়। আমিষ খাবারও বেশ পছন্দের ছিল বাজপেয়ীর। কলকাতায় তাঁর আর এক বন্ধুর বাড়ি ছিল। ভট্টাচার্য বাড়িতে গিয়ে খেতেন মাছের ঝোল আর ভাত। তিনি এতটাই ভোজনরসিক ছিলেন যে, রান্না নিয়ে মাঝেমধ্যে পরামর্শও দিতেন। কী খেতে তাঁর মন চাইছে, সেই আবদারও করতেন বাজপেয়ী।

[আরও পড়ুন: হেমা মালিনীর একটি সিনেমা ২৫ বার দেখেছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী]
রাস্তার পাশের ফুচকার পাশাপাশি রেস্তোরাঁর কাবাব ছিল তাঁর পছন্দের খাবারের তালিকায়। কলেজের দিনগুলো থেকেই তিনি খাদ্যপ্রিয়। গোয়ালিয়রের নয়া বাজারের লাড্ডু আর দৌলতগঞ্জের ডালের মঙ্গৌড়ি খুব পছন্দ করতেন। খেতেন সিঙাড়া আর জিলিপি। তাঁর পছন্দের খাবারের তালিকায় ছিল দোল উৎসবে উজ্জ্বয়িনীর ঠান্ডাই, দীপাবলিতে নানা ধরনের মিষ্টি।
ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান ছিলেন বাজপেয়ী। তবে কোনওদিনও তিনি আমিষ খাওয়া নিয়ে ভ্রু-কুঁচকাননি। পুরনো দিল্লির করিম হোটেলের খাবার তাঁর পছন্দের ছিল। ভালোবাসতেন চিংড়ি খেতে।
[আরও পড়ুন:'পাকিস্তানে নির্বাচনে দাঁড়ালেও জিতবেন' বাজপেয়ীকে বলেছিলেন নওয়াজ শরিফ ]