করোনা আবহে দিশেহারা কলকাতাবাসী! বেসরকারি হাসপাতালেও শয্যার জন্য হাহাকার
প্রধান কৌশল লকডাউন। পাশাপাশি রয়েছে করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা। তবে এর লক্ষ্যে প্রয়োজন বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি। বর্তমানে কলকাতার প্রাইভেট করোনা হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কলকাতায় কোরোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আরও ৪০০-৫০০ বেড চালু করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তবে প্রাইভেট হাসপাতালে বেডের এই খামতি ভুগাচ্ছে শহরবাসীকে।
গতকাল, বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটা থেকে কনটেইনমেন্ট জ়োনগুলিতে কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আর, করোনা রোগীদের জন্য কলকাতার চালু কোভিড হাসপাতালগুলিতে যেমন আরও বেড বাড়ানো হচ্ছে, তেমনই নতুন কোভিড হাসপাতালও চালু হচ্ছে।
বর্তমানে, রাজ্যে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্য়া ৫৮২। এই মুহূর্তে সেখানে ৫ হাজার ৬০৫ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত সরকারি কোয়ারানটিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯৯ হাজার ২৭ জন। এখনও পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে মোট ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮১০ জন রয়েছেন। এই মুহূর্তে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪১ হাজার ৫২০ জন। ছাড়া পেয়েছেন ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ২৯০ জন।
ভিনরাজ্য থেকে যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের জন্য এই মুহূর্তে রাজ্যে ২ হাজার ৬০৩টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে । বর্তমানে সেখানে ১১ হাজার ৯০১ জন রয়েছে। ছাড়া পেয়েছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪২৫ জন। এছাড়া এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা হাসপাতালের সংখ্যা ৭৯। এর মধ্যে ২৬টি সরকারি ও ৫৩টি বেসরকারি। করোনা হাসপাতালগুলিতে মোট শয্য়ার সংখ্যা ১০ হাজার ৬০৭। আইসিইউ যুক্ত শয্যার সংখ্যা ৯৪৮।
গত 24 ঘণ্টায় এ রাজ্যে আরও ১০৮৮ জন কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে৷ এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই ৩২২ জন কোরোনায় আক্রান্তের হদিস মিলেছে। এর ফলে গতকাল পর্যন্ত এ রাজ্যে কোভিড-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৯১১ জন । স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় আরও ১৩ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।