সুদীপবাবুর গ্রেফতারকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত, বিলম্বিত ও প্রত্যাশিত ঘটনা বলছেন রাজ্যের বিরোধীরা
সুদীপবাবু অযথা সময় নিচ্ছিলেন সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার ব্যাপারে। বোঝাই যাচ্ছিল তিনি ভীত সন্ত্রস্ত। তিনি গ্রেফতারির ভয় পাচ্ছিলেন। আর সেই ভয়টাই সত্যি হল, তিনি গ্রেফতার হলেন।
কলকাতা, ৩ জানুয়ারি : রোজভ্যালিকাণ্ডে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত, বিলম্বিত ও প্রত্যাশিত ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করলেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। এ প্রসঙ্গে সিপিএম সাংসদ বলেন, সুদীপবাবু অযথা সময় নিচ্ছিলেন সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার ব্যাপারে। বোঝাই যাচ্ছিল তিনি ভীত সন্ত্রস্ত। তিনি গ্রেফতারির ভয় পাচ্ছিলেন। আর সেই ভয়টাই সত্যি হল, তিনি গ্রেফতার হলেন।[রোজভ্যালি কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়]
এদিন সেলিম আরও বলেন, সিবিআই এই চিটফান্ড তদন্তে অযথা বিলম্ব করেছে। আরও আগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এটা ঠিক যে, বিধানসভা নির্বাচন ছিল, সিপিএমের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করার বিষয় ছিল। তবু বলছি, এখানে সময়ের ব্যাপারটা মুখ্য নয়। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলছে। সেখানে কোনও সময়ই সময় নয়।[সুদীপের গ্রেফতারের পরেই জরুরি বৈঠক ডাকল তৃণমূল ]
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, সুদীপবাবুকে ব্যক্তিগতভাবে আমি শ্রদ্ধা করি। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে সংসদীয় রাজনীতি করছি। দাদা বলে ডাকি। কিন্তু চিটফান্ড কাণ্ডে যদি তিনি জড়িত হন, তবে গ্রেফতার তো হতেই হবে। তা-ই হল। আইন আইনের পথে চলবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই তদন্ত চলছে। এখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয়টি মুখ্য হতে পারে না। সেইসঙ্গে তিনি জানান, নোটকাণ্ডে তৃণমূলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন হয়েছে বলে, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে চিটফান্ড ইস্যুতে আন্দোলনের কোনও প্রশ্নই নেই।[(ছবি) সারদা-রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলের যে বড় মাথারা!]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, কী করে একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে একথা বলতে পারেন। তাঁর কাছে যদি কোনও প্রমাণ থাকে, তবে তা তিনি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিন। তাহলে তো সিবিআইয়ের সুবিধা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশমন্ত্রী, পুলিশকে কাজে লাগিয়ে রাশি রাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছেন। আবার আমার বিরুদ্ধে একটা ভিডিও গুছিয়ে রেখে দিয়েছেন। কবে ওঁদের নেতা গ্রেফতার হবে, তখন দেখাবে বলে। কিন্তু সরল সত্যটা বুঝছেন না, আমি একজন এন্টারটেনার, পারফর্ম করতে যাওয়াটা আমার কাজ। বাবুলের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলতে যা বোঝায়, সেটা করছেন মুখ্যমন্ত্রীই।