পার্থর সঙ্গে বন্ধুত্বে ছেদ! প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে চাঞ্চল্যকর 'দাবি' অবস্থানে অনড় অর্পিতার
পার্থর সঙ্গে বন্ধুত্বে ছেদ! প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে চাঞ্চল্যকর 'দাবি' অবস্থানে অনড় অর্পিতার
ভরসা করে ফেঁসেছেন। কিংবা তিনি অসুস্থ, যে কোনও শর্তে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। আদালতে বিচারকের কাছে এমনই আবেদন করতে দেখা গিয়েছে একসময়ে রাজ্যের দোর্দণ্ডপ্রতাপ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারক তাঁকে নিয়ে কী আদেশ দেবেন, সেটা পরের প্রশ্ন কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল মুক্তির সম্ভাবনা আপাতত নেই বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। কেননা ইডির কাছে দেওয়া বান্ধবীর অর্পিতার বয়ান।
অর্পিতার বয়ানে পার্থের বিপদ
এসএসসির দুর্নীতি কাণ্ডের প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। সেখানেই কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়েছে অর্পিতার লিখিত বিবৃতির কথা। সেখানে অর্পিতা জানিয়েছে, তার ফ্ল্যাটগুলি থেকে উদ্ধার হওয়া ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা এবং ৫ কোটি টাকার সোনার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অর্থাৎ অর্পিতার নামে থাকা টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি ও বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা, সোনার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। টাকার উৎসের কথা বলতে পারবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নিরাপত্তার কথা ভেবেই গোপন
অর্পিতা ইডির কাছে দেওয়া লিখিত বয়ানে দাবি করেছে নিজের এবং মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সব তথ্য গোপন করেছিল সে। প্রসঙ্গত বেলঘরিয়ায় অর্পিতার প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন, অর্পিতা তাদের কাছে বলেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমন্পর্কে মামা হন। সেই সম্পর্কেই পাড়ার পুজোয় হাজির হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও এব্যাপারে অর্পিতার মা মিনতি মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর কোনও কূলের ভাই নন। আর পার্থ অর্পিতার মধ্যে সম্পর্ক আর যাই হোক মামা-ভাগ্নির নয়।
শুরু থেকেই দাবি করেছিলেন যা উদ্ধার হয়েছে, তা তার নয়
দটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধারের পর থেকেই অর্পিতা বারে বারে দাবি করেছিল, এসব তার নয়। সরাসরি উত্তর এড়িয়ে সে বলেছিল, মাঝে মধ্যে কয়েকজন এসে পার্সেল রেখে যেন। কিন্তু নির্দিষ্ট ধরে ঢোকার অধিকার তার ছিল না। তবে সরাসরি সেই সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলেনি সে।
৪ অগাস্ট স্পষ্ট বয়ান
ইডির তরফে উল্লেখ করা হয়েছে ৪ অগাস্ট তদন্তকারী আধিকারিকরা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করতে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন। সেইসময় অর্পিতা নিজের বয়ান দেয়। সে বলে নিরাপত্তার কথা ভেবেই এতদিন সে সব কথা গোপন করেছে। সেই সময়ই লিখিত বিবৃতিতে ইডিকে সে জানান দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা এবং সোনার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এলআইসি পলিসির টাকার যোগানদারও পার্থ
ইডির চার্জশিটে আরও উল্লেখ করেছে, অর্পিতার ৩১ টি বিমা পলিসির বার্ষিক প্রিমিয়াম প্রায় দেড় কোটি টাকার। তদন্তে দেখা গিয়েছে বেশির ভাগের প্রিমিয়াম ৫০ হাজার টাকার। কোনো কোনটার ৪৫ হাজার টাকার। ইডি জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল ফোন ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অর্পিতার বিমার প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার মেসেজ রয়েছে তাঁর ফোনে। তার সঙ্গে মিলে গিয়েছে ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া নথিও।
অর্পিতার ৩১টি LIC-র হদিশ, ১.৫ কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ, চার্জশিটে উল্লেখ ইডির