চিকিৎসা না করেই ভুয়ো বিল, চাঞ্চল্যকর তথ্য অ্যাপোলোকাণ্ডের রিপোর্টে
সঞ্জয় রায়ের চিকিৎসা না করেই তৈরি হয়েছিল ভুয়ো বিল। চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল স্বাস্থ্য দফতরের নয়া কমিটির রিপোর্টে।
কলকাতা, ১০ মার্চ : সঞ্জয় রায়ের চিকিৎসা না করেই তৈরি হয়েছিল ভুয়ো বিল। চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল স্বাস্থ্য দফতরের নয়া কমিটির রিপোর্টে। অ্যাপোলোর ডাক্তারদের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে তদন্তে। স্বাস্থ্য কমিটির রিপোর্টে তা-ই উল্লেখ করা হয়েছে। নবান্ন এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।[সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুতে রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে নয়া কমিটি গঠন করল রাজ্য]
স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আর এস শুক্লা আগেই নবান্নে অ্যাপোলো-কাণ্ডের রিপোর্ট জমা দেন। তারপরই তিন সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ জারি করেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী, পিজি-র স্কুল অফ ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড লিভার ডিজিজের অধিকর্তা ডা. গোপালকৃষ্ণ ঢালি ও সিনিয়র চিকিৎসক মধুসূদন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে গড়া ওই কমিটির রিপোর্টে অ্যাপোলোর গাফিলতির প্রমাণই উঠে আসে।[সঞ্জয় রায়ের মৃত্যু : অ্যাপোলোর ১০ চিকিৎসক-সহ ১৬ জনকে তলব তদন্তকারীদের]
আগেই রিপোর্ট জমা দিয়ে জানানো হয়েছিল, চিকিৎসায় গাফিলতি, চিকিৎসার কাগজপত্রে গরমিল-কারচুপি ও অহেতুক দেরি করার প্রমাণ মেলে। আবারও সেই রিপোর্টকে মান্যতা দিল নয়া রিপোর্ট। সুরেশ রমাসুব্বাম, উষা গোয়েঙ্কার মতো চিকিৎসক-সহ বহু কর্মীর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
সেইসঙ্গে বিলে চারবার মেজর অ্যানাথ্রেসিয়া করার কথা উল্লেখ রয়েছে, সেইমতো টাকা ধার্য করা হয়েছে। অথচ মাত্র একবার লোকাল অ্যানাথ্রসিয়া করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সঞ্জয় রায়কে মাত্র একবার ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর ফুসফুস, যকৃতের আঘাতের কোনও চিকিৎসা হয়নি। এইসব নানা অভিযোগকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে রিপোর্টকে।