থানার লক-আপে মধুমিতার আত্মহত্যার চেষ্টা, পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলল এপিডিআর
মধুমিতার আত্মহত্যার চেষ্টায় রাজ্যকে দায়ী করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হল এপিডিআর। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি এপিডিআর-এর।
পুলিশ হেফাজতের মধ্যে গলায় ধাতব পাত চালিয়ে স্বামী হত্যার মূল অভিযুক্ত মধুমিতা মিস্ত্রির আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় দায় এড়াতে পারে না রাজ্য। মধুমিতার আত্মহত্যার চেষ্টায় রাজ্যকে দায়ী করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হল এপিডিআর। এপিডিআর-এর পক্ষে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে কর্তব্যরত অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান এপিডিআর-এর সম্পাদক আলতাফ আহমেদ।
[আরও পড়ুন: মনোনয়ন সত্ত্বেও অনিশ্চিত পঞ্চায়েত নির্বাচন! আলোর রেখা কি পাবে রাজ্য-কমিশন ]
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর ট্যাক্সিচালক হত্যার মূল অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রী মধুমিতা পুলিশ হেফাজতেই গলায় ধাতব পাত চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। রবিবার সকালে শৌচালয়ে গিয়ে গলায় ধাতব পাত চালায় মধুমিতা। তাঁর গলায় ও ঘাড়ে ২৫টি সেলাই পড়ে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ দায় এড়াতে পারে না বলে অভিযোগ এপিডিআর-এর।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে এপিডিআর-এর সম্পাদক জানান, একজন বিচারাধীন বন্দির আসামী পুলিশ হেফাজতের মধ্যে ধাতব পাত পেল কোথা থেকে? একজন বন্দি যাতে কোনও অস্ত্রশস্ত্র হাতে না পায়, সেটা কি দেখার কথা নয় পুলিশের? এই ঘটনায় পরিষ্কার পুলিশ বিচারাধানী বন্দিদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সেই কারণেই আমাদের আবেদন, কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার ও কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সেইসঙ্গে এপিডিআর-এর পক্ষ জানানো হয়, পুলিশ হেফাজতে বন্দি মধুমিতা মিস্ত্রির আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হোক। এপিডিআর-এর সহ সভাপতি রঞ্জিত সুর বলেন, লালবাজারের পর ফের সোনারপুর থানার লকআপে ঘটল এমন ঘটনা। একটি হাইপ্রোফাইল হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের ক্ষেত্রেও পুলিশের ভূমিকা সদর্থক নয়।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকার একজন বিচারাধীন বন্দির নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। এই কারণেই আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাইছি এই ঘটনায়। এবং এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির জন্য দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মী ও অফিসারদের যথাযোগ্য শাস্তি দাবি করছি।
অভিযোগ, স্ত্রীর শারীরিক চাহিদা মেটাতে অক্ষম থাকায় প্রেমিক চন্দনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ট্যাক্সিচালক স্বামী সমীরকে খুনের ছক কষে মধুমিতা। বাড়ির প্রধান দরজা খুলে, সেদিকে মুখ করে বসিয়ে সমীরকে রাতের খাবার খেতে দিয়েছিল মধুমিতা। তখনই খোলা দরজা দিয়ে সমীরকে গুলি করে পালিয়ে যায় চন্দন। ভাতের থালার উপরই লুটিয়ে পড়ে সমীর। এই অপরাধ খতিয়ে দেখতে প্রোমোটিং ব্যবসায় গন্ডগোলের গল্প ফাঁদে মধুমিতা।