ডায়রিয়া-কাণ্ডে ক্ষুব্ধ কি মুখ্যমন্ত্রী, বৈঠকে 'ব্রাত্য' শোভন
যাদবপুর-বাঘাযতীনের ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিঘ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন তিনি। তবে বৈঠকে ডাকা হয়েছে মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষকে।
যাদবপুর-বাঘাযতীনের ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিঘ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন তিনি। তবে বৈঠকে ডাকা হয়েছে মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষকে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বৈঠকে না ডাকা নিয়ে প্রশ্ন।
দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ। যাদবপুর-বাঘাযতীন-সন্তোষপুর এলাকা তো ছিলই এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কসবা-হালতু এলাকা। এর মধ্যে বছর ৪০-এর এক যুবক বিশ্বজিৎ দাসের মৃত্যু হয়েছে। দাবি স্থানীয় কাউন্সিলরের। যদিও মেয়রের মত চিল মাল্টি অর্গান ফেলিওর-এ মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
এখনও প্রতি দিনই বেশ কিছু মানুষ যাচ্ছে পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিংবা বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। অসুস্থদের প্রত্যেকেরই উপসর্গ ছিল পেট ব্যথা, পেটের গণ্ডগোল কিংব বমি। জলবাহিত রোগ বলে অভিযোগ উঠলেও, প্রথম দিন থেকেই মেয়র দাবি করেছেন, এলাকায় জল সরবরাহ করা হয় ধাপার আজাদহিন্দ জলপ্রকল্প থেকে। সেই জল নিরাপদ। পাণীয় জল থেকে ডায়রিয়ার খবর তিনি অস্বীকার করেছিলেন। যদিও, পরে স্কুল অফ ট্রপিক্যাপ মেডিসিন-সহ একাধিক জায়গা থেকে জল পরীক্ষায় ধরা পড়ে, দূষিত দলেই রোগ ছড়িয়েছে। আক্রান্ত একাধিক ব্যক্তির মল পরীক্ষাতেও কলেরার জীবাণু পাওয়া যায়।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা জল সরবরাহ বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা আলাদা করে তদন্ত শুরু করেন। বিস্তীর্ণ এলাকায় সরবরাহ লাইনে কমপক্ষে ১৬ টি ছিদ্রের হদিশ পান তারা। তবে আতঙ্ক গ্রস্ত এলাকায় পয়-প্রণালীর লাইনের সঙ্গে পাণীয় জলের সরবরাহের লাইন কোনও ভাবে যুক্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
এই-সব খবরই রাখছিলেন জেলা সফররত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতির পর্যালোচনায় পুরসভার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক করার কথা জানা যায়। আরও জানা যায়, সোমবার মেয়র পারিষদ স্বাস্থ অতীন ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন অতীন ঘোষ। তবে আলোচনার বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানাতে অস্বীকার করেছেন তিনি। বিরোধী অবশ্য প্রাথমিকভাবে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকে ডাক না পাওয়া পাওয়ার ঘটনাকে কটাক্ষই করেছেন।