সিপিএম-এর ইচ্ছায় বাধা পরিবার! বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে বাবার চোখে ছিল জল, বললেন সোমনাথ কন্যা
সিপিএমের পক্ষ থেকে চাওয়া হলেও, পরিবারের আপত্তিতে শেষযাত্রায় লাল পতাকায় ঢাকা গেল না সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহ। কন্যা অনুশীলা বসু এসম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সিপিএমের পক্ষ থেকে চাওয়া হলেও, পরিবারের আপত্তিতে শেষযাত্রায় লাল পতাকায় ঢাকা গেল না সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহ। কন্যা অনুশীলা বসু এসম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। উল্লেখ করেছেন, পার্টি থেকে বহিষ্কারের দিনটিতে বাবা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থার কথা।
২০০৪ সালের সাধারণা নির্বাচনে দেশের সব থেকে বেশি সংখ্যক আসন দখল করেছিল বামেরা। গঠিত হয় ইউপিএ সরকার। লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। জোট সরকার চালাতে মাঝে মধ্যে চালকদল কংগ্রেসের সঙ্গে টানাপোড়েন চললেও, সব থেকে বড় গণ্ডগোল দেখা দেয় ২০০৮-এ। আমেরিকার সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি-সই প্রসঙ্গে। সেই সময় সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয় সিপিএম-সহ বামদলগুলি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৎকালীন সিপিএম সম্পাদক প্রকাশ কারাত গো ধরে থাকেন, যাতে লোকসভায় সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা যাচাইয়ের আগেই অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, অধ্যক্ষের পদ দলের উর্ধ্বে। তিনি পদত্যাগ করেননি।
২০০৮-এর
২৩
জুলাই
সোমনাথ
চট্টোপাধ্যায়কে
সিপিএম
থেকে
বহিষ্কার
করা
হয়েছিল।
সেই
সিদ্ধান্তের
কথা
সোমনাথ
চট্টোপাধ্যায়
শুধু
নন,
পরিবারের
তরফে
কেউই
মেনে
নিতে
পারেননি।
সোমবার
এমনটাই
জানিয়েছেন
কন্যা
অনুশীলা
বসু।
সেই
দিনটির
কথা
সোমবার
উল্লেখ
করেছেন
অনুশীলা।
তিনি
বলেছেন,
সামনে
থেকে
সামলে
নিলেও,
অ্যান্টিচেম্বারে
বসে
চোখের
জল
ফেলতে
দেখেছিলেন
বাবাকে।
দল
থেকে
বহিষ্কারের
সিদ্ধান্তের
কথা
অনুশীলাই
প্রথম
জানান
বাবাকে।
সোমনাথ
চট্টোপাধ্যায়
প্রথম
প্রশ্ন
ছিল
শো-কজ?
তবে
বহিষ্কারের
সিদ্ধান্তের
কথা
জানতে
পেরে
সবার
সামনে
নিজেকে
সামলে
নিয়েছিলেন
বলে
জানিয়েছেন
অনুশীলা।
অনুশীলা
বসু
জানিয়েছেন,
বাবার
দুঃখ
ছিল।
পরিবারও
সিদ্ধান্ত
মানতে
পারেনি।
পরিবারের
তরফে
তাঁকে
দলের
বিরুদ্ধে
বলার
জন্য
তাঁতানো
হয়েছিল।
কিন্তু
তাতে
তিনি
সায়
দেননি।
অনুশীলা
এও
বলেছেন,
বহিষ্কারের
পর
বিভিন্ন
দলের
তরফে
থেকে
নানা
প্রস্তাব
দেওয়া
হয়েছিল
তাঁর
বাবাকে।
যদিও
কোনও
কিছুতেই
আমল
দেননি
সোমনাথ
চট্টোপাধ্যায়।
খাতায়
কলমে
বিচ্ছিন্ন
হলেও,
মানসিকভাবে
দলের
থেকে
তিনি
বিচ্ছিন্ন
ছিলেন
না
বলেই
জানিয়েছেন
তিনি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার সকালে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম, রবীন দেব। যাতে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে সিপিএম-এর তরফে আলাদা করে শ্রদ্ধা জানানো যায়। দলের পতাকা যাতে তাঁর দেহের ওপর রাখা যায়। তবে পরিবারের তরফে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী কিংবা কন্যা বিষয়টিতে রাজি ছিলেন না। ফলে দল হিসেবে সিপিএম-এর আলাদা করে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি।