শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ে হাজিরা অনুব্রতর , ঢুকলেন সিজিও কমপ্লেক্সে
Array
ভোট পরবর্তী মামলায় শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের অফিসে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বহুদিন ধরে সিবিআই তাঁকে হাজিরা দিতে বলছিল, কিন্তু শরীর অসুস্থ এই কথা জানিয়ে তিনি হাজিরা দেননি। অবশেষে তিনি হাজির হলেন সিজিও কমপ্লেক্সে। এর আগে তিনি বহুদিন ভরতি ছিলেন হাসপাতালে। তাঁর নিম্নাঙ্গে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
এর আগে পাঁচবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তিনি হাজিরা দেননি। এদিন জানা গিয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লক্সে এসে হাজির হন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার একাধিপতি অনুব্রত।
ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় বেলা বারোটা। কলকাতায় সিবিআই দফতরের সামনে এসে থামে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। এদিন তিনি গাড়ি থেকে নামতেই দেখা যায় তিনি কিন্তু একা হাজিরা দিতে আসেননি। দেখা যায় যে তৃণমূল নেতার সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আইনজীবীরাও। ছিলেন ২ জন আইনজীবী। তাঁরা আরও আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি আসতেই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাঁরা কমপ্লেক্সের ভিতরে চলে যান।
সিবিআইয়ের পাঁচবার অনুব্রতকে হাঁক দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত শুক্রবার। সেদিন হাজিরা দেবার কথা ছিল নেতার। সবার নজর ছিল কি বলেন অনুব্রত মণ্ডল। আদৌ কী তিনি হাজিরা দেবেন তা নিয়ে দোলাচল তৈরি হয়েছিল কারণ এর আগে প্রত্যেকবারই তিনি তাঁর অসুস্থ শরীরের কথা বলেছিলেন। শুক্রবারও তাঁর অন্যথা হয়নি। তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে জানিয়ে দেন যে তিনি সিবিআইয়ের ডাকে হাজিরা দিতে পারবেন না , কারণ সেই একই। তিনি অসুস্থ। এক কথায় বলা যেতে পারে তিনি এড়িয়ে যান সিবিআইয়ের ডাক।
এরপর আরও একপ্রস্থ অপেক্ষা করে সিবিআই। এবং বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে বলা হয় যে তিনি যেন বৃহস্পতিবার হাজিরা দেন। এই কথা তাঁকে জানানো হয় বুধবার। আজ ছিল সেই দিন। তাঁকে আবার ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সবার নজর ছিল সেদিকেই। দেখার ছিল এটাই যে কী করেন নেতা।
ঘটনাচক্রে আজ কিন্তু এই যে সিবিআইয়ের ডাকাডাকি তা গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে নয়। রাজ্যে 'ভোট পরবর্তী হিংসা'-র এবং সেই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছিল যে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য গতকাল বুধবার রাতেই তাঁর জেলা বীরভূম থেকে কলকাতায় আসেন। তারপর তিনি ছিলেন চিনার পার্কের বাড়িতে। সেখান থেকে তিনি আজ আসেন সিবিআই দফতরে।