কলকাতায় আর কত আল কায়েদা জঙ্গি আছে, শিয়ালদহে আরও এক জঙ্গির গ্রেফতারে উঠল প্রশ্ন
ফের কলকাতা থেকে আর এক আল কায়েদা জঙ্গিকে গ্রেফতার করলেন কলকাতায় পুলিশের এসটিএফ শাখার আধিকারিকেরা।
ফের কলকাতা থেকে আর এক আল কায়েদা জঙ্গিকে গ্রেফতার করলেন কলকাতায় পুলিশের এসটিএফ শাখার আধিকারিকেরা। এই নিয়ে মোট চারজন সন্দেহভাজন আল কায়েদা জঙ্গিকে কলকাতা থেকে ধরা হল।
এদিন ভোরে শিয়ালদহের জগত সিনেমার কাছ থেকে সাদান হুসেন ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে আল কায়েদার স্লিপার সেলের সদস্য বলে নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। সে আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা।
সাদানকে এদিন শিয়ালদহ আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। সে ছাড়া কলকাতায় আস কায়েদার স্লিপার সেলের আর কোন কোন সদস্য রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ। কলকাতা সহ সারা দেশে কোথায় ও কীভাবে জঙ্গি নাশকতার ছক কষছিল তারা তা জানার চেষ্টা হবে।
পুলিশ আপাতত যা জানতে পেরেছে তা হল, এই সাদান হুসেনই এর আগে ধরা পড়া আল কায়েদা জঙ্গি সামসাদ ও রিয়াজকে সীমান্ত পার করিয়ে এনে হায়দরাবাদে পৌঁছে দিয়েছিল। সে জঙ্গিদের সীমান্ত পার করিয়ে এদেশে নিয়ে আসত। সঙ্গে অস্ত্র সরবরাহতেও জড়িত ছিল।
গত মঙ্গলবার ধরা পড়া তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি সামসাদ মিঞা, রিয়াজুল ইসলাম বাংলাদেশের বাসিন্দা। এই দলে নাম লিখিয়েছিল বসিরহাটের খোলাপোতার বাসিন্দা আর এক সন্দেহভাজন মনোতোষ দে-ও। পুলিশ জানাচ্ছে, সাদানের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকজন আত্মীয় রয়েছেন। তাদের মদত নিয়েই সে নিশ্চিন্তে সীমান্তের এপার ওপার করত।
সাদান সহজেই সীমান্ত পারাপার করতে পারায় সেই দুই বাংলাদেশি জঙ্গিকে কলকাতায় নিয়ে এসে হায়দরাবাদে পাচার করেছিল। গত মঙ্গলবার তিন আল কায়েদা জঙ্গি কলকাতা স্টেশনের কাছে ধরা পড়ে। তারা অস্ত্র কিনতে এসেছিল। নির্দিষ্ট খবর পেয়েই তাদের ধরেন এসটিএফের গোয়েন্দারা।
এদিন ধরা পড়া সাদানের সঙ্গে এরাজ্যের আর কোন জঙ্গির যোগ রয়েছে তা জানতে তাকে জেরা করা হবে। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, আগে ধরা পড়া জঙ্গিদের থেকে কলকাতায় জঙ্গি মডিউল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই তথ্যগুলিই সাদানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি তার আর কার কার সঙ্গে লিঙ্ক ছিল সেটাও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখবেন।