For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

বিড়ি থেকে বাজির ব্যবসা, জেনে অন্নপূর্ণার বুড়িমা হয়ে ওঠার গল্প

বিড়ি থেকে বাজির ব্যবসা, জেনে অন্নপূর্ণার বুড়িমা হয়ে ওঠার গল্প

Google Oneindia Bengali News

বাঙালি মানেই উৎসব, হুল্লোড় । জন্মদিন, খেলা, নানা উৎসব( সবেবরাত,কালীপূজা ইত্যাদি) অনুষ্ঠানে এখন চলছে বাজি ফাটানো। আতশবাজি হোক বা চকলেট।

কালীপূজো হোক বা কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান, বাজি মানে বুড়িমার ছাড়া অসম্পূর্ণ। বাজি ফাটান অথচ বুড়িমার নাম শোনেননি এমন লোক খুবই কম আছে। বুড়িমার চকলেট বোম ছিল এককালে সবচেয়ে বিখ্যাত। বর্তমান প্রজন্মে হয় অধিক শব্দেরত চকলেট বোম নিষিদ্ধ, কিন্তু বুড়িমা এখনো চলছে রমরমিয়ে বিভিন্ন ধরনের আতসবাজির পসরা সাজিয়ে। বুড়িমার নাম অনেকেই শুনেছেন কিন্তু বুড়িমার নামের পিছনে রয়েছে যে রহস্য তা অনেকেরই অজানা। তাহলে জেনে নেওয়া যাক

এই বুড়িমা আসলে কে ?

এই বুড়িমা আসলে কে ?

আমরা যাকে বুড়িমা নামে চিনি অর্থাৎ বুড়িমার বোমের প্যাকেটে যার ছবি দেখতে পাই তার আসল নাম অন্নপূর্ণা দাস। এই অন্নপূর্ণা দাস ছিলেন বাংলাদেশের ফরিদপুরের বাসিন্দা। দেশভাগের সময় ভিটেছাড়া হয়ে চলে আসেন আমাদের পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিম দিনাজপুর জেলার জলদিঘি সরকারী ক্যাম্পে এসে ওঠেন। তখন ছিলেন একেবারে নিঃসম্বল। এর পর চলে কঠিন লড়াই। হাওড়া জেলার বেলুড়ে তার নিজের বাড়ি তৈরি করার পিছনে রয়েছে তার অদম্য লড়াই। আস্তে আস্তে বাংলাদেশ থেকে আসা এই নিঃসম্বল মেয়েটিই হয়ে ওঠেন একজন সফল ব্যবসায়ী। এখনো তার ব্যাবসা রমরমিয়ে চলছে। বেলুড়ে রয়েছে তাদের কারখানা ও দোকান।

স্বামীর মৃত্যুর পর

স্বামীর মৃত্যুর পর

স্বামী সুরেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ থেকে দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে একাই ভারতে চলে আসেন। তারপর সবজী বিক্রি করে দুবেলা সন্তানদের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতেন। এরপর গঙ্গারামপুরে বিড়ি বাধার কাজ শুরু করেন। হাতে কিছু টাকা আসায় নিজেই একটি কারখানা তৈরি করেন। তারপর তার মেয়ের বিয়ে হয় হাওড়া জেলার বেলুড়ে। তারপরই তার আসল সাফল্য শুরু হয়। তিনি বেলুড়ের প্যারিমোহন মুখার্জি স্ট্রিটে দোকান-সহ একটি বাড়িও কেনেন। সেখানে বিড়ির তৈরির সাথে সাথে আলতা, সিঁদুর, ঘুড়ি, দোলের রং, কালীপুজোর বাজির ব্যবসাও শুরু করেন। নিজে তৈরি না করলেও লাভ হতে লাগল বেশ ভালোই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অন্নপূর্ণা দেবীকে সবাই বুড়িমা বলে ডাকতেন। সেই কারণেই তার ব্যাবসার নামকরণ হয় বুড়িমা।

ধার করা টাকায়

ধার করা টাকায়

ধার করা দশটা একশো টাকার দিয়ে নানা রকম বাজি কিনে দোকান সাজান। বিক্রিবাটা হলেও বাজি বিক্রির লাইসেন্স না থাকায় পুলিশ, গুঁড়িয়ে দেয় দোকান। জেদ চেপে যায়। ঠিক করেন বাজির ব্যবসাই করবেন। তারপর যা হয়েছে তা ইতিহাস বললেও ভুল হয় না। শুরু হয় বিড়ি বাঁধা দিয়ে পরে ঠাকুর বিক্রি, তারপর রঙের ব্যবসা। তারপর লজেন্স। একদিন এক ঝাঁক ছেলেমেয়ে তাকে বুড়িমা বলে ডাকে। অন্নপূর্ণা হয়ে গেলেন 'বুড়িমা'। এরপর ইচ্ছে হয় দোকানে বাজি তুলবেন। হাতে পয়সা নেই। ধারের টাকায় বাজি কিনলেন, তার পরই সেই ঘটনা। এর ক'দিন পরেই এক দুপুরে মেলে অনুমতিপত্র।

বাজি বানানো

বাজি বানানো

বাজি বানানো শিখলেন বাঁকড়ায় আকবর আলির কাছে।
প্রথম মরশুমেই বাজিমাত। সব বিক্রি হয়ে যায়। আকবরের ফর্মুলাতেই তৈরি হল 'বুড়ীমার চকলেট বোম'। বাজি-কারখানার জন্য তালবান্দা, ডানকুনি, শিবকালীতে জায়গা কিনলেন। এক সময় যাঁর মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, তিনিই পঞ্চাশটি পরিবারকে বাড়ি বানিয়ে দিলেন। সরকারী নিয়ম মেনে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজির কারীগরদের নিয়ে আসেন এবং তৈরী করেন নতুন ব্রান্ড বুড়িমা। ছেলে সুধীরনাথও মায়ের এই ব্যাবসার সাথে যুক্ত হন। বিভিন্ন ধরণের আতসবাজি তৈরি করতে লাগলেন।

বর্তমান

বর্তমান

১৬/১ পিয়ারীমোহন মুখার্জি স্ট্রিটের বিরাট বাড়ির সর্বত্র বুড়িমা। শুধু বাজি ব্যবসাতেই থেমে থাকেননি। তিনি তামিলনাড়ুর শিবকাশীতে একটি দেশলাই কারখানা খোলেন। বুড়িমার এই ব্যাবসা এখন তার নাতিরা চালান। বর্তমানে বুড়িমার ব্যাবসা শুধুমাত্র বাজি তৈরিতেই সীমাবদ্ধ নেই। বেলুড়ে তৈরি হয়েছে বুড়িমা মাল্টিজিম।

English summary
Know that how Annapurna the old lady became buri maa
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X