মিথ্যা গাঁজার কেস! গ্রেফতার নারদ কাণ্ডের আইনজীবি ও মাদক বিভাগের কর্তা
এনসিবি কর্তা অমরেন্দ্র কুমার এবং কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী দানিশ হককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাদের বিরুদ্ধে অভিয়োগ মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তোলা তুলতেন দুজনে।
একজন মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের আধিকারিক, আরেকজন হাইকোর্টের আইনজীবী। তাঁদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারর ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার। তক্কে তক্কে ছিল সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা। এক যুবকের কাছ থেকে তোলা আদায় করার সময়ই তাদের হাতে-নাতে ধরে ফেলেন তদন্তকারীরা।
দানিশ হক, হাইকোর্টের বড় আইনজীবী, নারদ কাণ্ডে তিনি ইকবাল আহমেদের হয়ে মামলা লড়েছিলেন। তাঁকেই তোলাবাজীর অভিযোগে গ্রেফতার হতে হল। সিবিআই-এর কাছে বেশ কয়েকমাস ধরেই দানিশ ও নারকোটিক্স কন্ট্রোলের অফিসার অমরেন্দ্র কুমারের নামে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ আসছিল। ফলে তদন্তে নামে সিবিআই।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা জানতে পারেন, অমরেন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে দানিশ কলকাতায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। এভাবে একমাসেই কয়েক কোটি টাকার তোলা সংগ্রহ করেছিল এই দুজনে। কিন্তি সিবিআইয়ের হাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনও অকাট্য প্রমাণ ছিল না।
[আরও পড়ুন:জিএসটি-র বিজ্ঞাপনে কোটি কোটি টাকা খরচ কেন্দ্রের, আরটিআই আবেদনে ফাঁস তথ্য]
এরপরই কলকাতার এক যুবক সিবিআই কর্তাদের জানান, দানিশ ও অমরেন্দ্র তাঁর কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন। না দিলে সেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের পরামর্শ মতো, ওই যুবক ৫০০০০ টাকা নিয়ে দানিশ ও অমরেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করতে যান। টাকা হস্তান্তরের সময়ই সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা দুই অভিযুক্তকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন।
[আরও পড়ুন:স্বপ্নের দার্জিলিং গড়ে তুলতে উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর! নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরির নির্দেশ]
প্রসঙ্গত এর দিন দুই আগেই ভাইরাল হওয়া একটি অডিও টেপে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলকে 'গাঁজা কেসে ফাসিয়ে' দেওয়ার কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। বিরোধীরাও বারেবারে মিথ্যে মামলায় পাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন। হাইকোর্টের আইনজীবি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভআগের এক কর্তার এভাবে তোলা আদায়ের কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠছে রাজ্যে মিথ্যা গাঁজা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়াটা কী সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে?
[আরও পড়ুন:'বিজেপির কোনও চান্স নেই বাংলায়'! বিজয়বর্গীয়র গলায় কেন অনুব্রত মণ্ডলের সুর ]