তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ককে বাংলাদেশ পাঠিয়েই ছাড়ব, ধর্মতলায় হুঙ্কার বিজেপি সভাপতির
অমিত শাহ বললেন, সমস্ত অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে ছাড়ব। মমতাজি আপনি বিরোধিতা করে আটকাতে পারবেন না। একইসঙ্গে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলকে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করার।
অনুপ্রবেশকারীরাই তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। তাই এনআরসি-তে এখন গ্রাত্রদাহ হচ্ছে তৃণমূলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শনিবার ধর্মতলার মঞ্চ থেকে অমিত শাহ বললেন, সমস্ত অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে ছাড়ব। মমতাজি আপনি বিরোধিতা করে আটকাতে পারবেন না। একইসঙ্গে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলকে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করার।
এদিন ধর্মতলায় মেয়ো রোডের সভা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে অমিত শাহ বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে আমরা দেশকে রক্ষা করবই। কারণ আমাদের কাছে দেশের নিরাপত্তা সবার আগে। আমাদের কাছে ভোট-ব্যাঙ্ক আগে নয়। তবে আমরা অবশ্যই শরণার্থীদের পাশে থাকব।
আমরা জানি, অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে পাঠালেই তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামবে। কারণ অনুপ্রবেশকারীরাই তৃণমূলের বল, ভরসা। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাঙ্ক হারানোর ভয়ে এখন নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করছেন। প্রকারান্তরে বাংলাতেও এনআরসি-র পক্ষে আওয়াজ তোলেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, এই বাংলায় ক্ষমতায় তাঁরা আসবেনই। বাংলার মানুষ বাংলার উন্নয়ন ঘটাতেই বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবে। তৃণমূল কংগ্রেস, বামেরা বা কংগ্রেস কখনই উন্নয়ন ঘটাতে পারে না। তার কারণ ওরা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে। ওরা উন্নয়নের রাজনীতি করে না। মুখেই বলে উন্নয়নের কথা। আর বিজেপি সবার আগে দেশের কথা ভাবে। তারপর ভাবে ভোটের কথা।
তিনি বলেন, বাংলাকে রক্ষা করতে বাংলায় মানোন্নয়ন ঘটাতে বিজেপিকে দরকার। বাংলার প্রতিটি গ্রাম গ্রামে এই আওয়াজ তুলতে হবে। তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিতে হবে। যতদিন না তৃণমূলকে বাংলা থেকে বিদায় করা যাচ্ছে আমাদের বিজয় রথ থামবে না। এই ভাষাতেই ২০১৯-এর সুর বেঁধে দেন অমিত শাহ।
[আরও পড়ুন : তৃণমূলকে উৎখাত-বার্তায় বাংলায় বিজেপির 'বিজয় রথ' ছোটানোর ডাক অমিত শাহের]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে অমিত শাহ বলেন, আমরা বাংলা বিরোধী নই, আমরা মমতা বিরোধী, আমরা তৃণমূল বিরোধী। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন এনআরসির পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন সংসদে। এখন ভোটের স্বার্থে তিনি পাল্টি খেয়েছেন। তবে এদিনের সমাবেশ বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলায় পরিবর্তন আসছে।
এদিন মোদী সরকারের দেওয়া উন্নয়ন খাতে দেওয়া সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার হিসেব চান অমিত শাহ। তিনি বলেন, অর্ধেক টাকাও তৃণমূল উন্নয়ন খাতে খরচ করেনি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে সারদা হয়েছে, নারদ হয়েছে। শুধু দু্র্নীতি আর দুর্নীতি। মানুষের কাছে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন : বিজেপি মমতা বিরোধী! নাগরিকপঞ্জি নিয়ে অমিত শাহ স্পষ্ট করলেন 'শরণার্থী'-র সংজ্ঞা]