অমিত শাহের ইচ্ছা! দিলীপ-রাহুলদের পিছনে ফেলে অনেকটাই এগোলেন মুকুল, জেনে নিন বিস্তারিত
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মুকুল রায়ের ওপরই ভরসা রাখলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়। দিল্লি থেকে রাজ্য দফতরে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, অমিত শাহ মুকুল রায়কে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী কমিটির সংযোজক
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মুকুল রায়ের ওপরই ভরসা রাখলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়। দিল্লি থেকে রাজ্য দফতরে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, অমিত শাহ মুকুল রায়কে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী কমিটির সংযোজক পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে প্রাক্তন তৃণমূলী যে চ্যালেঞ্জ জানাবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সামনে না থাকলেও পিছন থেকে সংযোজকের কাজ করে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। যার জেরে রাজ্যে বাম-কংগ্রেসকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি। সেই ফলাফলে যথেষ্টই খুশি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রধান বিরোধী দলের রণকৌশন তৈরি করবেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। বিজেপির এই সিদ্ধান্ত তৃণমূলকে যথেষ্ট চাপে রাখবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া অডিও থেকেই বোঝা যাচ্ছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কতটা পছন্দ করে মুকুল রায়কে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে পরামর্শ করে নিচ্ছিলেন মুকুল রায়ের সঙ্গে। এই কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের হাত ধরেই গত বছরের নভেম্বরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়।
সম্প্রতি এলপিজি দুর্নীতি এবং দলের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বের ওপর যথেষ্টই ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে। ইসলামপুর ছাড়া একের পর এক বিষয়ে বিজেপি নজরকাড়া আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। এক্ষেত্রে মুকুল রায় অনেকটাই কার্যকরী হতে পারেন বলে মনে করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেননা ১৯৯৮ থেকে ২০১১, তৃণমূল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত প্রচারে আলোয় না থেকেও দলকে সবথেকে বেশি যিনি সাহায্য করেছেন, তিনি মুকুল রায়। বাংলার বিভিন্ন কেন্দ্র যতটা চেনেন মুকুল রায়, বিজেপির অন্য কেউ তেমনটা চেনেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এবার মুকুল রায়কে সেই জায়গা দিতে চায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।