কলকাতার মাটি ছুঁল দৈত্যকার Beluga! তিমির মতো দেখতে এই বিমানের বৈশিষ্ট্য চমকে দেওয়ার মতো
কলকাতা বিমানবন্দরের মাটি ছুঁল দৈত্যকার বিমান! বিমানের আকার এবং আকৃতি একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। আর যা দেখতে একেবারে হুড়োহুড়ি পরে যায় যাত্রীদের মধ্যে। অনেকেই বলছেন এটা আস্ত একটা তিমি বললেও কম বলা হবে। ফলে কলকাতা বিমানবন্দরে
কলকাতা বিমানবন্দরের মাটি ছুঁল দৈত্যকার বিমান! বিমানের আকার এবং আকৃতি একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। আর যা দেখতে একেবারে হুড়োহুড়ি পরে যায় যাত্রীদের মধ্যে। অনেকেই বলছেন এটা আস্ত একটা তিমি বললেও কম বলা হবে। ফলে কলকাতা বিমানবন্দরে নামা দৈত্যকার এই বিমান রীতিমত চমকে দিয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিমানবন্দর কতৃপক্ষও বিশাল এই বিমানের অবতরণকে ইতিহাসের সঙ্গেই তুলনা করছেন। কিন্তু দৈত্যকার এই বিমান কি কাজে লাগে? কেনই বা কলকাতা বিমানবন্দরে গভীর রাতে নামল এই বিমান। আহমেদাবাদ থেকে এই বিমান কলকাতাতে আসে বলে জানা যাচ্ছে।
Guess who’s back! It’s the whale again! One of the world’s largest aircraft @Airbus #Beluga (No. 3) landed at #KolkataAirport for crew rest and refueling. Here are few glimpses of the majestic beast from the #CityofJoy. #Airbus #BelugaAircraft #BelugaWhale pic.twitter.com/Obx50PjSTv
— Kolkata Airport (@aaikolairport) November 20, 2022
এই বিমানের নাম বেলুগা
বিশাল আকারের এই বিমানের নাম বেলুগা। শনিবার গভীর রাতে এই বিমান কলকাতা বিমানবন্দরের মাটিতে অবতরণ করে। মূলত জ্বালানি এবং কর্মীদের বিশ্রাম দিতেই এই বিমান কলকাতাতে এসেছে। যদিও রবিবার রাতে বিমানটি তাইল্যান্ডের উদ্দেশে উড়ে যায়। কিন্ত্য রবিবার সারাদিন কলকাতা বিমানবন্দরে ছিল বেলুগা। ফলে বিশাক সামুদ্রিক এই তিমির মতো দেখতে বিমানটিকে দেখতে যাত্রীরা ব্যাপক ভাবে ভিড় জমান। কলকাতা বিমানবন্দরের টুইটারে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
এমন বিমান তৈরি করছে এয়ারবাস।
পৃথিবীর বৃহত্তম বিমানগুলির মধ্যে একটা বেলুগা। বেলুগা যখন আকাশে ওড়ে তখন হঠাত করে দেখলে মনে হবে আকাশে একটা আস্ত তিমিউ উড়ছে। বাংলার আকাশে এমন এত্ত বড় বিমান দেখা যায় না সহজে। ইউরোপীয় বিমান সংস্থা এয়ারবাস বিশাল বড় এই বিমান নির্মাণ করেছে। এটির আসল এয়ারবাস এ৩০০-৬০০এসটি। তবে বিশাল আকারের এই বিমানটিকে তিমির মতো যেহেতু দেখতে সেই কারণে এটি বেলুগা বলা হয়ে থাকে। বিশাল আকারে এই বিমান তৈরি করতে তিন বছর সময় লাগে। প্রত্যেক বছর একটি করে এমন বিমান তৈরি করছে এয়ারবাস।
এক নজরে বৈশিষ্ট্য
১৭.২৪ মিটার উঁচু বিমানটি। ৫৬.১৫ মিটার লম্বা, ৪৪.৮৪ মিটার চওড়া। মূলত মাল বহন করার কাজে বিশাল আকারের এই বিমান ব্যবহার করা হয়। ৪৭ হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিমানের ভারবহন ক্ষমতা রয়েছে। বেলুগার জন্যে জ্বালানির প্রয়োজন হয়ে থাকে ২৩ হাজার ৮৬০ লিটার। শুধু তাই নয়, ৮৬৪ কিলোমিটার গতিবেগ ঘন্টাতে এই বিমান ছুটতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই বিমান অনান্য যাত্রীবাহী বিমানের থেকে কিছুটা আলাদা। কর্মী সংখ্যা থাকে মাত্র দুজন। তবে এত বড় বিমান জথন মাঝ আকাশ চিরে চলে তখন সবার নজর একেবারে কেড়ে নেয়।