শিক্ষা জগতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়! বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন এআইসিটিই-র প্রধান
দেশের শীর্ষস্থানে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে নেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এটা খুবই দুঃখের বিষয়। এমনটাই মন্তব্য করেছেন এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান অনিল দত্তাত্রেয় সহশ্রবুধে।
দেশের শীর্ষস্থানে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে নেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এটা খুবই দুঃখের বিষয়। এমনটাই মন্তব্য করেছেন এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান অনিল দত্তাত্রেয় সহশ্রবুধে।
শহরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান বলেন, তিনি সাধারণত খুব খারাপ উদাহরণ টানেন না। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বম্বে বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনওটিই দেশের ইনস্টিটিউশনস অফ এক্সিল্যান্সের তালিকায় নেই। তবে তিনি চান এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রথম ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আসুক। মন্তব্য করেছেন এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান অনিল দত্তাত্রেয় সহশ্রবুধে।
কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিজেদের স্থানচ্যুত হয়েছে। প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান নিজেই। সম্ভবত নেতৃত্বদানে কোনও অসুবিধা রয়েছে। দেশের সেরা দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রয়েছে। সেই কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিরও সেই তালিকায় আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান। তবে দেশের পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের অবস্থান বজায় রাখায় তিনি খুশি।
একইসঙ্গে শিক্ষা জগতে অবস্থান ফিরে পাওয়ার উদাহরণও টেনেছেন এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, শিবপুর আইআইইএসটি নিজের অবস্থান থেকে সরে গেলেও, ফের নিজ অবস্থানেই ফিরে এসেছে। স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার ফলেই যে তা সম্ভব হয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্বায়ত্বশাসন দেওয়ার বিপক্ষে তিনি। ইউজিসি যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বশাসন দেয়, ঠিক সেভাবেই স্বশাসনের পক্ষে তিনি।
তবে কাজের চাপ আর চাকরি নিয়ে সংকট হতে পারে ভেবে অনেক সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বশাসনের পক্ষে নয়। মন্তব্য করেছেন এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান।