west bengal assembly election 2021 kolkata police kolkata west bengal bangla news west bengal by elections পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১
ভোট ঘোষণা হতেই বড় সিদ্ধান্ত! সরানো হল জাভেদ শামিমকে
ভোট ঘোষণা হতেই রাজ্য পুলিশ প্রশাসনে বড়সড় রদবদল করল নির্বাচন কমিশন। বাংলায় অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে চায় নির্বাচন কমিশন। সেদিকে তাকিয়ে একগুচ্ছ ব্যবস্থা ইতিমধ্যে নিয়েছে কমিশন। আর এবার খোদ এডিজি, আইনশৃঙ্খলা পদে রদবদল করল কমিশন। শুধু তাই নয়, ফুলবাগানের ঘটনায় আরও কড়া কমিশন। বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করল কমিশন।

পুলিশ প্রশাসনে রদবদল
ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর ভোট ঘোষণার পরেই আদর্শ আচরণ বিধি লাঘু হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, নির্বাচন ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা-সহ পুলিশ প্রশাসন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব চলে যায় নির্বাচন কমিশনের হাতে। সেই মতো ভোট ঘোষণার পরেই এডিজি, আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমকে সরিয়ে দিল কমিশন। পাঠানো হল একেবারে দমকল বিভাগে। আর তাঁর জায়গায় নতুন এডিজি, আইনশৃঙ্খলা হলেন জগমোহন। যিনি কিনা দীর্ঘদিন দমকলের ডিজির পদ সামলেছেন। জাভেদ শামিমের নতুন পদ ডিজি, দমকল। শনিবারই কমিশনের তরফে বদলির এই বিজ্ঞপ্তি এসে পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, শনিবার দুপুরেই নয়া দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন জগমোহন।

ফুলবাগানের ঘটনায় কড়া আরও কমিশন
শুক্রবার রাতে ফুলবাগানে বিজেপি দফতরে একদল যুবক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অবাধে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। একের পর এক বিজেপির ট্যাবলো ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন খোদ জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভোট ঘোষণার পরেই যদি এমন ঘটে তাহলে আগামিদিনে কি হবে তা ভেবে চিন্তিত কমিশন। আর এরপরেই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নতুন এডিজি আইনশৃঙ্খলার কাছে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে যান গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনা যেহেতু ভালো ভাবে নেয়নি কমিশন সেই কারনেই জাভেদ শামিমকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।

সরানো হোক পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ অফিসারদের
সরষের মধ্যে এখনও ভুত লুকিয়ে! অর্থাৎ পুলিশ প্রশাসনে এখনও অনেকে রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। নির্বাচনের কাজ থেকে সরানো হোক পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ অফিসারদের। শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এমনই দাবি জানায় বিজেপি। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলতে গিয়েও বলার সুযোগ পাননি বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বদের। এদিন দুপুর নাগাদ বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর নেতৃত্বে এক বিজেপি প্রতিনিধিদল পৌঁছয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। সেখানে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ আলোচনা চলে তাঁদের। বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে নিজেদের দাবিদাওয়া স্পষ্ট করেন তাঁরা।

অশান্তি রুখতে বাংলায় ১০ কোম্পানি বাহিনী
শনিবার দুপুরে আরও দশ কোম্পানি আধাসেনা পৌঁছে গেল। আজ দুপুরে পাটনা থেকে বিশেষ ট্রেনে চিৎপুরে নামল সীমা সুরক্ষা বলের দশ কোম্পানি আধাসেনা। এর মধ্যে দু কোম্পানি করে বাহিনী পাঠানো হবে বনগাঁ এবং বসিরহাটে। তিন কোম্পানি যাবে বারাসাতে এবং বাকি তিন কোম্পানি বাহিনী কলকাতার জন্য। জানা যাচ্ছে, আগামিকাল রবিবার থেকেই কলকাতায় টহলদারি শুরু করে দেবে। কলকাতায় আসা সীমা সুরক্ষা বলের জওয়ানদের রাখা হচ্ছে পিটিএস এবং কলকাতা পুলিশের দু'নম্বর ব্যাটালিয়ানে। এছাড়াও রবিবার থেকেই শহরতলিতেও হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহলদারি চালাচ্ছে।