মিদ্দার মৃত্যুর ঘটনায় দুসপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ
জানা গিয়েছে, বামেদের ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের আবেদনে এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার
ডিওয়াইএফআই কর্মীর মৃত্যু ঘটনায় দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে স্পেশাল তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল লালবাজার। আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে ওই বিশেষ কমিটিকে। এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। আগামী ১২ মার্চ পরবর্তী শুনানি।
জানা গিয়েছে, বামেদের ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের আবেদনে এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার এই সেই মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
মামালাকারির আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য ছিল, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বামেদের ছাত্র সংগঠন নবান্ন অভিযানে পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে। যা মানবাধিকার লংঘনের সামিল। এমনকি সওয়ালে আইনজীবীরা আদালতের কাছে আরও জানান যে, ঘটনায় কোনও নারী পুরুষ মানা হয়নি। নির্বিকারে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ।
আন্দোলনকারীরা বেকারত্ব থেকে মুক্তির দাবিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের যেভাবে লাঠি চালিয়েছে তা সংবিধান বিরোধী, অনুচিৎ। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে আদালত তদন্ত কমিটির কাছে তদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়।
প্রসঙ্গত, মইদুলের মৃত্যুর দিন সাতেক আগেই মইদুলের মৃত্যুর তদন্ত করতে সিট গঠন করেছিল লালবাজার। তার প্রেক্ষিতে বিশেষ তদন্ত কমিটি কে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।