নারদে জেরা এড়াতেই শোভন-পত্নী লন্ডনে! ইডি-স্ক্যানারে ‘অসুস্থ’ রত্না
গত ২৩ আগস্ট মেয়রের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে গিয়ে শোভন-জায়াকে নোটিশ ধরিয়ে আসে ইডি। তারপরই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে লন্ডনে পাড়ি দেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
নারদকাণ্ডে ইডি-র দফতরে হাজিরা এড়াতে মেয়র-পত্নীর অসুস্থতার বার্তায় সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইডি আধিকারিকরা এবার সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের অসুস্থতা নিয়েই। আদৌ কি তিনি অসুস্থ? নাকি জেরা এড়াতেই চিকিৎসার নামে লন্ডনে গিয়ে বসে রয়েছেন, তা জানতে সক্রিয় গোয়েন্দারা। এবার রত্নাদেবীকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র নিয়ে তলব করল ইডি।
বৃহস্পতিবার সিবিআই যখন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করছে, তখন ঘন ঘন কলকাতার ফোন করছিলেন রত্নাদেবী। এছাড়াও কলকাতায় সর্বক্ষণ ফোনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি। একজন অসুস্থ মানুষ যদি বিদেশে যান চিকিৎসার জন্য, তার পক্ষে কি পদে পদে ফোন করে কলকাতায় যোগাযোগ রাখা সম্ভব?
এই তথ্য সামনে আসার পরই এদিন ইডির তরফে দ্বিতীয়বার রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তলব করা হয়। ৪ অক্টোবর তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয় ওই নোটিশে। ওইদিন তাঁকে চিকিৎসা-সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র আনতে বলেছেন গোয়েন্দারা। ইডি দেখতে চায়, তিনি বিদেশে গিয়ে কী চিকিৎসা করিয়েছেন। তিনি লন্ডনে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন না কি বাহানা করে বসে রয়েছেন লন্ডনে, তা খতিয়ে দেখতে চান গোয়েন্দারা।
এদিন রত্নাদেবীকে দ্বিতীয় নোটিশ দিল ইডি। এই নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি ইডি জানিয়ে দিল সম্পত্তি ও আয়কর সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্রও সঙ্গে আনতে। আপাতত মেয়র-পত্নী এখন রয়েছেন সিবিআইয়েরও নজরে। এর আগে ইডি ও সিবিআই- উভয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায় তাঁকে তলব করেছে। ফলে আগামী ৪ অক্টোবর তিনি ইডি-র ডাকে সাড়া দেন কি না, তাই দেখার।
গত ২৩ আগস্ট মেয়রের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে গিয়ে শোভন-জায়াকে নোটিশ ধরিয়ে আসে ইডি। সেই নোটিশেই ইডি নির্দেশ দেয় রত্নাদেবীকে ৪ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের সিজি কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার। কিন্তু সেদিন তিনি ই-মেল পাঠিয়ে অসুস্থ বলে হাজিরা এড়িয়ে যান। তারপর থেকেই তিনি লন্ডনে। তাঁর লন্ডন যাত্রা সত্যিই চিকিৎসার জন্য কি না, তা জানতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।