শিলিগুড়ির মল্লিকার কিডনি গ্রহীতা মৌমিতার মৃত্যু এসএসকেএম-এ
মৃত্যু হল শিলিগুড়ির কিশোরী মল্লিকা মজুমদারের কিডনি গ্রহীতা খড়দহের কলেজ ছাত্রী মৌমিতা চক্রবর্তী। সোমবার ভোরে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃত্যু হল শিলিগুড়ির কিশোরী মল্লিকা মজুমদারের কিডনি গ্রহীতা খড়দহের কলেজ ছাত্রী মৌমিতা চক্রবর্তী। সোমবার ভোরে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, মৌমিতার শরীর কিডনিটি গ্রহণ করেনি। সেই জন্যই এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা।
এসএসকেএম-এ চিকিৎসারত শিলিগুড়ির কিশোরী মল্লিকা মজুমদারের মৃত্যুর পর তার দুটি কিডনি, যকৃত প্রতিস্থাপন করা হয় কলকাতাতেই। ত্বক সংরক্ষণ করা হয়। তবে হৃদপিন্ডের প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি। মেয়ে বেঁচে থাকবে অন্যদের শরীরে। শোকের আবহেও খুশি হয়েছিলেন মল্লিকা মজুমদারের পরিবারের সদস্যরা।
যদিও, এই খুশি দিন দুয়েকের বেশি স্থায়ী হল না। শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি খড়দহের কলেজ পড়ুয়া মৌমিতা চক্রবর্তী এবং সোদপুরের যুবক সঞ্জীব দাসের দেহে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। । অন্যদিকে, রাতে যকৃতটি গ্রিন করিডর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তেলেঙ্গানার বাসিন্দা রামাকান্ত নায়ারের জন্য।
এসএসকেএম সূত্রে খবর, রবিবার থেকেই মৌমিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে আইটিইউতে রাখা হয়েছিল। সোমবার ভোরে মারা যায় সে। অন্যদিকে, প্রথমের দিকে সোদপুরের যুবক সঞ্জীব দাসের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও, এখন সে স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
কানের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছিল শিলিগুড়ির কিশোরী মল্লিকা মজুমদার। কিন্তু আস্তে আস্তে তার পরিস্থিতির অবনতি হয়। ১৩ অগাস্ট চিকিৎসকরা একরকম জবাব দিয়ে দেন, মল্লিকার অবস্থার কথা বলে দেন পরিবারের সদস্যদের কাছে। তাঁদেরকে অঙ্গদান নিয়ে বোঝানোর পর্বও চলে। দিন দুয়ের পরে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার কিশোরীর ব্রেন ডেথ ঘোষণার পর অঙ্গদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল।