৫ দিনের মধ্যে ফের অঙ্গদানের নজির কলকাতায়! প্রৌঢ়ের অঙ্গে বাঁচল ৩ টি প্রাণ
৫ দিনের মধ্যেই ফের অঙ্গদানের নজির কলকাতায়। বুধবার বিকেলে অ্যাপোলো হাসপাতালে ব্রেন ডেথ হয় চিৎপুরের বাসিন্দা অদিতি সিনহার।পরিবারের তরফে দুটি কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপনে মত দেওয়ার পরেই প্রক্রিয়া শুরু হয়
৫ দিনের মধ্যেই ফের অঙ্গদানের নজির কলকাতায়। বুধবার বিকেলে অ্যাপোলো হাসপাতালে ব্রেন ডেথ হয় চিৎপুরের বাসিন্দা অদিতি সিনহার। পরিবারের তরফে দুটি কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপনে মত দেওয়ার পরেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।
অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসক বিকে সিংহানিয়ার অধীনে চিকিৎসাদীন ছিলেন অদিতি সিনহা। ব্রেন ডেথের কথা জানানো হয় পরিবারকে। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ারের চিকিৎসকরা পরিবারকে অঙ্গদানের তাৎপর্য বোঝানোর চেষ্টা করেন। মত দেন অদিতি সিনহার পরিবারের সদস্যরা।
দুটি কিডনি এবং যকৃত দেহ থেকে বের করার পর অ্যাপোলোতে ভর্তি এক রোগীর দেহে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। অপর কিডনি ও যকৃত গ্রিন করিডর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর সেখানেও কিডনি প্রতিস্থাপন সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যকৃত প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে। তবে হৃৎপিন্ডের অবস্থা ভাল না থাকায় তা নেওয়া হয়নি।
অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি অপর প্রৌঢ়া মীরা দের পরিবারের সদস্যরাও অঙ্গদানে মত দিয়েছিলেন। হাওড়ার শরৎ চ্যাটার্জি রোডের বাসিন্দা তিনি। অদিতি সিনহার ব্রেন ডেথের বারো ঘণ্টা আগেই যাঁর ব্রেন ডেথ হয়েছিল। তবে দেখা যায় তাঁর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের উপযুক্ত নয়।
গত সপ্তাহে এসএসকেএম হাসপাতালে ব্রেন ডেথ ঘোষণার পর শিলিগুড়ির কিশোরী মল্লিকা মজুমদারের দুটি কিডনি এবং যকৃত প্রতিস্থাপনে মত দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তবে এক কিডনি গ্রহীতা খড়দহের মৌমিতা চক্রবর্তীর মৃত্যু হলেও অপর কিডনি গ্রহীতা সোদপুরের সঞ্জীব দাস এখনও সুস্থ বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে যকৃত গ্রহীতাও সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে।