পঞ্চায়েত নিয়ে ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে! নতুন 'অস্ত্র'-এ শান রাজ্যের কর্তাদের
ফের পঞ্চায়েত নিয়ে শুনানি হল সোমবার। সর্বোচ্চ আদালতে সওয়াল করেন রাজ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, সিপিএম এবং বিজেপির আইনজীবীরা।
ফের পঞ্চায়েত নিয়ে শুনানি হল সোমবার। সর্বোচ্চ আদালতে সওয়াল করেন রাজ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, সিপিএম এবং বিজেপির আইনজীবীরা। অন্য রাজ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে মামলা খারিজের আর্জি জানানো হয় রাজ্যের তরফে। মঙ্গলবার ফের শুনানির পর কোনও রায় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলায় পঞ্চায়েতে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। বিরোধীরা সরকারি দলের বিরুদ্ধে এই তথ্যই বারবার তুলে ধরছেন। অন্যদিকে সরকার কিংবা রাজ্য নির্বাচন কমিশনও বসে নেই। অন্য রাজ্যগুলিতে এর থেকেও অনেক বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বলে এদিনের সওয়ালে তথ্য তুলে ধরেন রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীরা। বিরোধীদের মামলা খারিজের আবেদন জানানো হয়। মামলা চলার কারণে পঞ্চায়েত গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে রয়েছে বলেও জানানো হয় আদালতে।
রাজ্য সরকারের কর্তারা এর আগেই অন্য রাজ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার তালিকা তৈরি করেছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছে, বিজেপি শাসিত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ কিংবা ঝাড়খণ্ডে ৩৪ শতাংশের বেশি আসনে জয়ী হয়েছে প্রার্থীরা। কোনও কোনও রাজ্যে এই হার ৫০ শতাংশ বলে তথ্য তুলে ধরেন আইনজীবীরা।
বিজেপির তরফে আইনজীবী বলেন, অন্য রাজ্যের ঘটনাও হলেও তা সঠিক ভাবে তদন্ত করা উচিত। সেখানে শাসক দল একাই ৩৪ শতাংশ আসন দখল করেছে কিনা সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানির পর রায়দান হওয়ার সম্ভাবনা।
জানা গিয়েছে, মামলার কারণে রাজ্যের তরফে দিল্লিতে গিয়েছেন, দুই আধিকারিক সৌরভ দাস ও দিব্যেন্দু দাস। অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচনে কমিশনের তরফে দিল্লিতে গিয়েছেন, সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্য এবং যুগ্ম সচিব শান্তনু মুখোপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির বেঞ্চে চলছে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি। ৩ জুলাই প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, ৬ অগাস্ট পঞ্চায়েত নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হবে। কিন্তু ওই দিন বিচারপতি ডিওয়াই তন্দ্রচূড় অনুপস্থিত থাকায় মামলার শুনানি সোমবার ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত মুলতুবি রাখা হয়।
২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৮,৬৫০ টি আসনের মধ্যে ১৬,৮১৪ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল শাসক দল। সমিতিতে ৯২১৭ টি আসনের মধ্যে ৩০৫৯ টি আসনে জিতে যায় শাসক দল। জেলা পরিষদের ৮২৫ টি আসনের মধ্যে ২০৩ টি আসনে জিতেছিল শাসক দল। জিতে গেলেও আদালতের নির্দেশে এই সব জয়ী প্রার্থীদের কোনও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।