কুইট স্মোকিং নিয়ে পুজোর থিম সং, মদন মিত্রকে টেক্কা দিতে গান গাইলেন কুণাল ঘোষ
Array
কুণাল ঘোষ মানে রাজনৈতিক চাঁচাছোলা কথাবার্তা। তিনি গাইলেন গান! অবাক কাণ্ডই বটে। এতদিন গান গেয়ে বাজার গরম করেছেন মদন মিত্র একা। সেই দলে যোগ দিলেন এবার কুণাল ঘোষও। এক্কেবারে থিম সিং। কুইট স্মোকিং থেকে পেট্রোল ডিজেলের অগ্নিমূল্য সব নিয়েই কথা বলা হয়েছে এই গানে।
কুইট স্মোকিং নিয়ে এমন পুজোর থিম সং আগে কখনও হয় নি। । গান গাইছেন এক চা বিক্রেতা ও বাচ্চা একটি মেয়ে। বাবা আর মেয়ের সত্য কাহিনী। স্মোক করতো বাবা। ছোট্ট মেয়ের বারণ শুনতো না। এই পুজোয় বাবা আর নেই । ডাক্তার বলেছেন অতিরিক্ত ধূমপান ফুসফুস ড্যামেজ করে দিয়েছিল। করোনা জয় করা তাই হয় নি। এই পুজোয় মেয়ে তাই এই গান।
পুজোর গান সঙ্গে রাজনীতিবদের যোগ এমনটাও দেখা যায়। এটাও এখানে হয়েছে ফলে পুরো ইউনিট বেশ আনন্দ করে কাজ করেছে।
কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'গান গাইতে ভালোবাসি। তবে এভাবে রেকর্ড করিনি। সুন্দর বিষয়। আমার বেশ ভালো লেগেছে'। বিশ্বরূপ বলেছেন, 'আমি সিরিয়াস বিষয় নিয়ে বেশি গান করেছি। সবসময় তা ভালো লাগে না। এখানেই বিষয় সিরিয়াস হলেও হালকা চালে তা বলা হয়েছে। কুণাল ঘোষ গান গেয়েছেন। মার কাজ করতে ভালো লেগেছে। আর কুণালবাবু শুধু গান গাননি উনি সুরে গেয়েছেন এটা আরও ভালো বিষয়'।স্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাব (ইংরেজি: Health effects of tobacco) বলতে তামাকের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মানব স্বাস্থ্যের উপর এর যে ক্ষতিকর কাজ রয়েছে সেগুলোকে বুঝায়। প্রাথমিকভাবে গবেষণা মূলত তামাক ধূমপান বিষয়ের উপর করা হয়েছে। ১৯৫০ সালে Richard Doll নামক বিজ্ঞানী ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশ করেন যেখানে তিনি ধূমপান ও ফুসফুস ক্যান্সারের একটি সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। এর ঠিক চার বছর পর ১৯৫৪ সালে ব্রিটিশ ডক্টরস স্টাডি নামক আরেকটি গবেষণা প্রকাশ করা হয় যেটি চল্লিশ হাজার ডাক্তারের কুড়ি বছর ধরে করা গবেষণার ফলাফল। সেখানে ধূমপানের সাথে ফুসফুসের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় যার উপর ভিত্তি করে সরকার ঘোষণা করে যে ধূমপানের ফলে ফুসফুস ক্যান্সারের হার বৃদ্ধি পায়।
যেসমস্ত বস্তুর ব্যবহার বাদ দিলে অকাল মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করা যায় তামাক এর মধ্যে শীর্ষে। যত লোক তামাক ব্যবহার করে তার প্রায় অর্ধেক এর ক্ষতিকর প্রভাবে মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে প্রতিবছর সারাবিশ্বে প্রায় ৬০ লাখ লোক তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবে মারা যায় (সর্বমোট মৃত্যুর প্রায় ১০%) যার প্রায় ৬ লাখ পরোক্ষ ধূমপানের স্বীকার। বিংশ শতাব্দীতে তামাক প্রায় দশ কোটি ব্যক্তির মৃত্যু ঘটিয়েছে। একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (CDC) সেন্টারও এটাকে সারাবিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তামাক মূলত হৃৎপিণ্ড, লিভার ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) (এমফাইসিমা ও ক্রনিক ব্রংকাইটিস সহ), ও ক্যান্সার (বিশেষত ফুসফুসের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, ল্যারিংস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার) এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। তামাক উচ্চ রক্তচাপ ও প্রান্তীয় রক্তনালীর রোগ করতে পারে।