তালতলায় স্ত্রীকে খুন করার পর বিষ খেয়ে ন’ঘণ্টা অজ্ঞান, মৃত্যু হল খুনি স্বামীর
স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি। নিজেও বিষ খেয়েছেন। শেষপর্যন্ত ওই খুনি স্বামীরও মৃত্যু হল। মঙ্গলবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর : স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করার পর নিজেও বিষ খেয়ে জ্ঞান হারিয়েছিলেন স্বামী। ন'ঘণ্টা অচৈতন্য হয়ে বাড়িতে পড়ে থাকার পর টলতে টলতে তালতলা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশকে জানান, স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি। নিজেও বিষ খেয়েছেন। শেষপর্যন্ত ওই খুনি স্বামীরও মৃত্যু হল। মঙ্গলবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে ধোঁয়াশা রয়েই গেল স্ত্রীকে খুন করে এই আত্মহত্যার কারণ।
তালতলার ডক্টর্স লেনের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ মালা দত্তের দেহ উদ্ধার রে ময়নাতদন্তে পাঠায়। আজকেই ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টা হাতে এসে যাবে। তাতে পরিষ্কার হয়ে যাবে. কীভাবে মৃত্যু হয়েছে মালাদেবীর। আত্মসমর্পণকারী স্বামী অশোক দত্তের বয়ানের সত্যতাও যাচাই করা হয়ে যাবে। তবে এরই মধ্যে অশোক দত্তের মৃত্যু এই তদন্তকে খানিকটা কঠিন করে দিল।
কেন স্ত্রীকে খুন করলেন অশোকবাবু? কেনই বা তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন? অশোকবাবু মৃত্যুর আগে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের মনে হয়েছে এই খুনের পিছনে দাম্পত্য কলহই রয়েছে। কিন্তু কেন এই দাম্পত্য কলহ, তা স্পষ্ট নয়।
অশোক দত্ত তালতলায় একটি ছোট ইলেকট্রিক দোকান চালান। স্বামী-স্ত্রী দু'জনের সংসার। সেই ছোট সংসারে নিত্য অশান্তি কেন? অশোকবাবু অশান্তিতে জেরবার হয়ে যাচ্ছিলেন বলে প্রতিবেশীদের অভিযোগ। পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে, ঠিক কী নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ লেগেছিল? এই খুনের মোটিভ কী? কয়েকদিন আগে এই ডক্টর্স লেনে অন্য একটি খুনের ঘটনার সঙ্গে এই খুন ও আত্মহত্যার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।