আয়ুষ্মান ভারতের পর এবার কি ইউজিসি-কেও কি অস্বীকার মমতার, সোমবারের বক্তব্যে উঠছে প্রশ্ন
দিন কয়েক আগেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কেন্দ্রীয় সরকারের ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন বা ইউজিসি-কে একহাত নিলেন।
দিন কয়েক আগেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কেন্দ্রীয় সরকারের ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন বা ইউজিসি-কে একহাত নিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, শিক্ষাখাতে অর্থ বরাদ্দ নেই কিন্তু, ফতোয়ার পর ফতোয়া জারি করছে ইউজিসি।
রাজ্যে শিক্ষানীতি কেমন হবে? এই নিয়ে বারবারই পশ্চিমবঙ্গ ও কেন্দ্রীয় মানব সম্পদক উন্নয়ন মন্ত্রকের বিরোধ প্রকাশ্যে এসে। স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভিডিও কনফারেন্স নিয়েও রাজ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। এমনকী এই রাজ্যের সরকারি বোর্ড দ্বারী স্বীকৃত কোনও স্কুলও প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেননি। জানুয়ারি মাসের শেষেই ফের প্রধানমন্ত্রী তাঁর 'পরীক্ষা পে চর্চা' অনুষ্ঠান নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখোমুখি হবেন। সেই অনুষ্ঠানে এই রাজ্য়ের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ নেওয়ার ব্য়াপারে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও চিঠি কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছে কি না তার খবর নেই। তবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এদিন যেভাবে ইউজিসি-কে আক্রমণ করেছেন তাতে 'পরীক্ষা পে চর্চা' নিয়ে এবারও এরাজ্যে বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এদিন এক পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বেশকিছু কলেজের অধ্যক্ষ। এই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ইউজিসি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন উপাচার্য ও অধ্যক্ষরা। ইউজিসি অর্থ না দিয়ে শুধু নানা ধরনের ফিরিস্তি দিচ্ছে এবং বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলছে বলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও তাঁরা অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী ইউজিসি-র সঙ্গে সঙ্গে এনসিআরটি-র ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন বৈঠকে। এনসিআরটি যেভাবে শিক্ষায় মেরুকরণের রাজনীতি করছে তাতে ক্ষিপ্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ইউজিসি ও এনসিআরটি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। বিভিন্ন ইস্যুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার কেন্দ্রের উপরে তাঁর অখুশি ব্যক্ত করে আসছেন। যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ নীতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার জেরে দিন কয়েক আগেই সাধারণ মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত থেকে রাজ্যের নাম প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন। এমনকী এনসিআরটি-র শিক্ষা নীতি-তে গৈরিকিকরণের প্রভাব থাকছে বলেও নানা সময়ে অভিযোগ করেছেন তিনি।