মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলই টাকার দাবি করেন! গ্রেফতারের পরে 'ষড়যন্ত্রকারী' হিসেবে আরও নাম কুন্তল ঘোষের
শনিবার সকালে চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় কুন্তস ঘোষ তাপস মণ্ডলকে নিশানা করেছেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় দলকে না জড়ানোরও আহ্বান করেছেন তি
দিন কয়েক আগে সিবিআই অফিস থেকে বেরনোর সময় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
আর এদিন গ্রেফতারের পরে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন যুব তৃণমূল নেতা কুণ্ডল ঘোষ। করেছেন ষড়যন্ত্রের অভিযোগও।
তাপস মণ্ডলের দাবি
গত সপ্তাহের সিবিআই দফতরের হাজিরা দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি দাবি করেন, তাঁর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে কুন্তল ঘোষকে। কুন্তল ঘোষ ৩২৫ জন চাকরি প্রার্থীর থেকে ১৯ কোটির বেশি নিয়েছিলেন, সেই সংক্রান্ত নথি তিনি সিবিআই-এর কাছে জমা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। এই লেনদেনে ১০০ কোটির খেলা রয়েছে বলে ইঙ্গিত করেছিলেন তিনি। প্রাথমিক ছাড়াও উচ্চপ্রাথমিক এবং শিক্ষা দফতরের নিয়োগেও টাকার বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
গ্রেফতারের পরেই তাপস মণ্ডলকে নিশানা
ইতিমধ্যে সিবিআই-এর দফতরে তিনবার হাজিরা দিয়েছেন কুন্তল ঘোষ। শেষবার তিনি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। আর এদিন কুন্তল গ্রেফতার করে চিনার পার্কের আবাসন থেকে বের করার সময় তিনি অভিযোগ করেন, তাপস মণ্ডল তাঁর কাছে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। তা না দেওয়াতেই তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। সিবিআই-ইডির কাছে তাপস মণ্ডল মিথ্যা বয়ান দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই
এদিন কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দাবি করেন ষড়যন্ত্রে রয়েছেন গোপাল দলপতি নামে আরও এক ব্যক্তি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি বিষয়টি জানতেন? ছাড়াও প্রশ্ন ওঠে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির দায় কে নেবে? সেই সময় কুন্তল ঘোষ দাবি করেন, দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্কে নেই। সুকৌশলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের নাম এড়িয়ে যান কুন্তল ঘোষ। তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে এই গণেশ দলপতির পরিচয় হয়েছিল বলে দাবি করেন কুন্তল। পাশাপাশি তিনি জানান, তাপস মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় ২০১৫ সাল নাগাদ। কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের পরে প্রথমে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় বিধাননগর হাসপাতালে। তারপরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়।
পাল্টা তাপস মণ্ডলের দাবি
এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তাপস মণ্ডল দাবি করেছেন, যাঁরা কুন্তল ঘোষকে টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁর (তাপস মণ্ডল) পরিচিত কিংবা ছাত্রছাত্রী। এঁবা টাকা ফেরতের দাবি করায় সেই বার্তা তিনি কুন্তল ঘোষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। অবৈধ নিয়োগের জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় সর্বশেষ গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক তথা তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।