খামখেয়ালি প্রকৃতি! ২০২১-এর ডিসেম্বরে অতিবৃষ্টিতেও অটুট ৪০ বছর আগেকার রেকর্ড
ডিসেম্বরের (December) বৃষ্টিতেও (Rain) কলকাতার পরিচিত ঠনঠনিয়া, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউতে জমা জল। বেলা বাড়তে, বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য জমা জল সরে যায়। আবহাওয়া (Weather) দফতর জানিয়েছে, গত ৪০ বছর
ডিসেম্বরের (December) বৃষ্টিতেও (Rain) কলকাতার পরিচিত ঠনঠনিয়া, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউতে জমা জল। বেলা বাড়তে, বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য জমা জল সরে যায়। আবহাওয়া (Weather) দফতর জানিয়েছে, গত ৪০ বছরে এমন বৃষ্টি কলকাতায় হয়নি। তবে ১৯৮১ সালের রেকর্ড এখনও অটুট রয়েছে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস।
৪০ বছরে রেকর্ড বৃষ্টি কলকাতায়
থাইল্যান্ড থেকে আন্দামান হয়ে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের আঘাত হানার কথা থাকলেও তা ঘুরে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যায়। ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে বৃষ্টির পাশাপাশি গাঙ্গেয় উপকূলের কয়েকটি জেলার সঙ্গে কলকাতাতেও ব্যাপক বৃষ্টি হয় রবিবার রাতে। রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আলিপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৯০ মিমি। তবে কলকাতা আশপাশের অন্য অংশ কোথাও কিছুটা বেশি, কোথাও কম বৃষ্টি হয়েছে।
এখনও রেকর্ড ১৪৫ মিমি বৃষ্টি
শীতেও জলজমার যন্ত্রণা কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। বেহাল বেহালা ছাড়াও, নিউ আলিপুর, তারাতলা, খিদিরপুর, মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই জমা জল দেখেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে এই বৃষ্টি ১৯৮১ সালের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি ১৯৮১-র পয়লা ডিসেম্বরে কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১৪৫ মিলিমিটার।
১২০ বছরে ডিসেম্বরে কলকাতায় বৃষ্টি
কয়েকবছর বাদে বাদে হলেও ডিসেম্বরের বৃষ্টি পিছু ছাড়েনি কলকাতার। খুব বেশি পিছনে না গিয়ে ১৯৭৩ সালে রেকর্ড ছিল ৬৪ মিলি। ১৯৭৭ সালে ছিল ৫৪ মিলি। ১৯৭৯ সালে ছিল ৫৯ মিলি আর ২০১২তে ছিল ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি। তবে আপাতত দিন কয়েকের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে। আপাতত আকাশ মেঘলা থাকলেও দিন কয়েকের মধ্যে তাপমাত্রা কমবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
বর্ষার মতোই পরিস্থিতি শীতেও
এবারের বর্ষায় একাধিকবার কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জসমগ্ন হয়েছে। সেই সময়ে নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল বর্তমান শাসকের মুখে। কিন্তু শীতের বৃষ্টিতেও যে একই পরিণতি। এর জন্য অবশ্য বর্তমান নিকাশির সঙ্গে পরিকল্পনার ত্রুটিকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণভাবে কলকাতার জল বেরনোর জন্য ৭ টি লকগেট থাকলেও তা জোরার সময় বন্ধ রাখতে হয়। দিনে-রাতে মোট ৪ ঘন্টা সেই লকগেটগুলি বন্ধ রাখা হয়। পরিকল্পনার ত্রুটি প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের জমা জল যেসব খাল দিয়ে বের হয়, সেগুলি পলি পড়ে বেহাল হয়ে রয়েছে। এছাড়াও খালগুলির ধারে বসতি গড়ে উঠেছে। পলি না সরালে কিংবা খালের ধার থেকে বসতি সরাতে না পারলে জল জমা থেকে কলকাতাবাসীর রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এছাড়ার শহরবাসীর স্বভাবও দায়ী। কেননা তারা প্লাস্টিক ব্যবহারের পরে তা যেখানে-সেখানে ফেলে দেন, যা নিকাশি নালার মুখে গিয়ে তা বল বেরনোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।