সরকারি আইনজীবীদের বয়কট জারি, মান্থার এজলাসে মামলা লড়তে এলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল
শেষে কলকাতা পুলিশের ডিসির হাজিরা-মামলায় এজলাসে আসতে বাধ্য হলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি এসে মামলার কাজ শুরু করেন। সরকারি আইনজীবীদের মামলায় অংশ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
হাইকোর্টে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি রেখেছেন সরকারি আইনজীবীরা। এখনও তাঁর এজলাস বয়কট করে রয়েছেন তাঁরা। শেষে কলকাতা পুলিশের ডিসির হাজিরা-মামলায় এজলাসে আসতে বাধ্য হলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি এসে মামলার কাজ শুরু করেন। সরকারি আইনজীবীদের মামলায় অংশ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি মান্থার এজলাসে অ্যাডভোকেট জেনারেল
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে মামলা লড়তে রাজি হচ্ছেন না কোনও সরকারি আইনজীবী। কিন্তু আজই আবার কলকাতা পুলিশের ডিসির হাজিরা মামলা রয়েছে। তাও আবার রাজশেখর মান্থার এজলাসেই। শেষে সরকারি আইনজীবীদের বিরোধিতার জেরে এজলাসে মামলা লড়তে এলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। সেই সঙ্গে আইনজীবীদের এজলাসে এসে মামলা লড়ার অনুরোধ জানালেন তিনি। এদিকে বিচারপতি মান্থা এদিন মন্তব্য করেছেন, যে ভাবে সরকারি আইনজীবীরা হাজিরা এড়াচ্ছেন, আদালতের কাছে এটা চিন্তার। এজন্য পুলিশের ক্ষতি হচ্ছে, এটা প্রশাসনের ক্ষতিয পুলিশ অফিসাররা আইনজীবীর অভাবেও এখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের বক্তব্য বলছেন। এভাবে চললে প্রশাসনের ক্ষতি।
রাজশেখর মান্থার এজলাস বয়কট
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কলকাতা হাইকোর্টে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি আইনজীবীরা। রাজশেখর মান্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে এজলাস বয়কট করেছে তারা। এই নিয়ে এক কথায় দ্বিধা বিভক্ত আইনজীবী মহল। বার অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ বিরোধিতা করলেও আরেক অংশ কাজে যোগ দিয়েছে। সরকারি আইনজীবীরা বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট করায় একাধিক মামলার শুনানি করা যাচ্ছে না। পিছিয়ে যাচ্ছে একাধিক মামলা।
পরিদর্শনে বার কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা
বিচারপচি রাজশেখর মান্থার এজলাসে বিক্ষোভ, তালা দেওয়া আর পোস্টারের ঘটনার তদন্তে বার কাউন্সিলের তিন প্রতিনিধি হাইকোর্টে এসেছিেলন। তাঁরা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেন। এমনকী আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধেও কথা বলেন তাঁরা। ১৭ তারিখের মধ্যে বার কাউন্সিলে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। তারপরেই হাইকোর্ট চত্ত্বরে বিচারপতি মান্থার নামে কোনও রকম পোস্টার এবং বিক্ষোভ করা যাবে না বলে একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
ক্ষুব্ধ মমতা
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া হয়। হাইকোর্ট চত্ত্বরে এবং বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার দেওয়া হয়। পোস্টারে লেখা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে অকারণে রক্ষাকচব দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। সেই পোস্টার কারা দিয়েছিল তা জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। তাই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি মান্থা অভিযোগ করেন বিচারব্যবস্থাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এদিকে হাইকোর্টে বার কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের আসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেছেন হাইকোর্টের বিষয় দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্ট রয়েছে। বার কাউন্সিল কেন পদক্ষেপ করবে।
ঝালদা পুরসভায় ফের ডামাডোল, কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে শীলা চট্টোপাধ্যায়